ঢাকার সাভারে চলন্ত বাসে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় বাসচালকের পর এবার হেলপার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর রিমান্ড শেষে বাকি চার আসামির আবার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান শিকদার এই রিমান্ড শুনানি করেন।
জবানবন্দি দেয়া আসামিরা হলেন, বগুড়ার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার মো. সুমন ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ধামঘর এলাকার মো. মনোয়ার। মো. সুমন ওই বাসের চালক ও মো. মনোয়ার বাসের হেলপার।
আবারও তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন, ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের আরিয়ান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার তারাগুনা এলাকার সাজু, বগুড়ার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সোহাগ ও দুপচাঁচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, গত ২৮ মে গভীর রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিশমাইল থেকে তরুণী গণধর্ষণের অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় গ্রামবাংলা পরিবহনের একটি বাস। পরদিন সকালে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই দিন বিকেলে পুলিশ ছয় আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে বাসের চালক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর পাঁচ আসামির তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, বুধবার বিকেলে তিন দিনের রিমান্ড শেষে পাঁচ আসামির আবার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে বাসের হেলপার আদালতে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি চার আসামির প্রত্যেকের আবারও তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।