রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকারের দেয়া আদেশ আপিল বিভাগও স্থগিত রেখেছে।
এর আগে হাইকোর্ট ওই আদেশ স্থগিত করে দিয়েছিল। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন বুধবার খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। ফলে ওদুদকে বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
প্রধান বিচারপতিসহ ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেয়।
আদালতে পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শফিক আহমেদ ও আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৯ মে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই আদেশটি স্থগিত করে।
দুর্নীতির অভিযোগে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদকে গত ৫ মে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত ১০টি দোকান তার আপন ভাই ও ফুফাতো ভাইয়ের নামে বরাদ্দ দেয়া, রাজম্ব তহবিল ব্যবহারের নির্দেশিকা অনুসরণ না করে গরিব/মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে নিজের লোকের সন্তানদের মধ্যে বৃত্তি দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা, বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা অনুসরণ না করে ভাতা দেয়া এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে উপজেলা পরিষদের ফান্ড থেকে পাংশা পৌরসভা এলাকায় প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া সম্পর্কে আনীত অভিযোগগুলো বিভাগীয় কমিশনারের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ (উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত)-এর ১৩ (খ) ধারার বিধান অনুযায়ী, রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদকে পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তবে এই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ফরিদ হাসান ওদুদ।