সিলেটে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ও সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা। এতে উভয় পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
সংঘর্ষের সময় করপোরেশনের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
সিটি করপোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে বুধবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অভিযোগ, নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও অবৈধভাবে রিকশা চলছিল। এসব রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গেলে চালকরা সংঘবদ্ধভাবে নগর ভবনে হামলা চালান।
মেয়র বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের পুলিশ গ্রেপ্তার না করলে নগরবাসীকে নিয়ে আমি অবস্থান ধর্মঘট শুরু করব।’
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বুধবার দুপুরে মেয়র আরিফুলের নেতৃত্বে বন্দরবাজার এলাকায় অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানে নামে সিটি করপোরেশন। এ সময় অন্তত ১০টি রিকশা আটক করা হয়।
করপোরেশনের অভিযানের খবর পেয়ে চালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। তারা মিছিল নিয়ে নগর ভবনে ঢুকতে চাইলে প্রধান ফটকে তাদের বাধা দেয় করপোরেশনের কর্মচারীরা। এ সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে করপোরেশনের চার-পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় দুই পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন। তবে কারো আঘাতই গুরুতর নয় বলে জানা গেছে।
পরে শ্রমিকরা করপোরেশনের সামনে থেকে সরে গিয়ে নগরের বারুতখানা এলাকার সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় তারা সড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় ২০ মিনিট পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের নিউজবাংলাকে বলেন, চালক ও করপোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।