নাটোরের নলডাঙ্গার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক সন্তোষ প্রামাণিকের বাড়িতে আরবি ও বাংলা অক্ষরে হাতে লেখা চিরকুট মুখে নিয়ে এসেছিল একটি ঘুঘু। রোববার আসা পাখিটি মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ছিল বাড়িটিতে।
পরে একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার সদস্যরা এসে পাখিটিকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়। চিরকুট রয়ে যায় সন্তোষের বাড়িতে।
এর আগে চিরকুট নিয়ে ঘুঘুর আগমনের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পাখিটি দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে সন্তোষের বাড়িতে।
ঘুঘুটিকে অবমুক্ত করা নিয়ে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) কেন্দ্রীয় দপ্তরের সম্পাদক ও স্থানীয় পরিবেশকর্মী ফজলে রাব্বী বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম এটি লাল রাজ ঘুঘু। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে পাখিটি উদ্ধার করে অবমুক্তের সময় নিশ্চিত হই এটি একটি কণ্ঠী ঘুঘু। বনবিভাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিবিসিএফের সঙ্গে কথা বলে পাখিটিকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।’
গত রোববার দুপুরে সন্তোষ প্রামাণিকের বাড়ির টিনের চালে হঠাৎ এ পাখি এসে বসে। এ সময় সন্তোষের স্ত্রী মানিকজান প্রথমে পাখিটি দেখতে পায়। খাবার দিলে ঘুঘুটি টিনের চাল থেকে মাটিতে নেমে আসে।
খাবার দিয়ে পাখিটিকে ধরে খাঁচায় বন্দি করে সন্তোষের বাড়ির লোকজন। খাঁচায় বন্দি করার সময় দেখতে পায় পাখির ঠোঁটে কাগজের চিরকুট। তাতে হাতে লেখা আরবি ও বাংলা অক্ষর।
চিরকুটের নিচের অংশে বাংলা অক্ষরে দুই মেয়ে ও দুই ছেলের নাম লেখা ছিল।
আরবিতে কী লেখা ছিল, তার অর্থ স্থানীয়রা বের করতে পারেননি।
অনেকের ধারণা, কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে কেউ পাখির ঠোঁটে চিরকুট দিয়ে দিতে পারে।