নাটোরের বড়াইগ্রামে এক ছাত্রলীগ নেতা অভিনীত শর্টফিল্মের ভিডিও ক্লিপ নিয়ে তোলপাড় হয়। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় কেএম শোভন নামের এক তরুণ ভিডিওটি তার ফেসবুকে আপলোড করেন।
১৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কেএম জিল্লুর রহমান জিন্নাহ মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। পেছনে পিস্তল উঁচিয়ে বসে আছেন তার ভাতিজা শোভন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ভিডিওটি পোস্ট করার আড়াই ঘন্টার মাঝেই ৪৫১ জন ভিডিওটি দেখেন। ৩১ জন কমেন্ট করেন এবং ২১৫ জন শেয়ার করেন।
এ ছাড়া দেশের কয়েকটি গণমাধ্যম গুরুত্ব সহকারে খবরটি প্রকাশ করে। এরপর ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে পুলিশ।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কেএম জিল্লুর রহমান জিন্নাহ জানান, কেএমভি মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় আব্দুল আউয়ালের পরিচালনায় নিতান্তই শখের বসে ‘নেতা’ নামে একটি শর্টফিল্মে তিনি ও তার ভাতিজা শোভনসহ অনেকেই বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন।
২০২০ সালের ৪ অক্টোবর ১৬ মিনিট ৮ সেকেন্ডের এই শর্টফিল্মটি ইউটিউবে আপলোড করা হয়। সেখান থেকে ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপস জন্মদিনে তাকে সারপ্রাইজ হিসাবে ভাতিজা শোভন ফেসবুকে আপলোড করে। এটাকেই কেউ রং মাখিয়ে সত্যিকারের ঘটনা বলে অপপ্রচার করে। পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
শোভন জানান, তার চাচা জিন্নাহকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে তিনি সারপ্রাইজ হিসাবে ভিডিওটি পোস্ট করেন। সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটবে তা তিনি ভাবেননি। ভাইরাল হওয়ার পর পুরো শর্টফিল্মটি তিনি ফেসবুকে আপ করেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে। প্রাথমিকভাবে পিস্তলটি খেলনা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শর্টফিল্মের খন্ডাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পুরো শর্টফিল্মটি দেখেই নিশ্চিত হওয়া গেছে ওটা শর্টফিল্মের দৃশ্য ছিল।