বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিকিৎসায় অবহেলায় মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ

  •    
  • ২ জুন, ২০২১ ০১:২৮

স্বজনরা মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ নিয়ে বাড়ি যেতে চাইলে তাতে বাধা দেন হাসপাতালের আরএমও শফিকুল ইসলাম সজিব। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালান।

পরে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক ও তার সহযোগীদের সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ৫ জন আহত হন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগরা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নুর ই খোদা রায়েজ হার্ট অ্যাট্যাক করলে স্বজনরা তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা না দিয়ে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়।

পরে একজন নার্স একটি ইনজেকশন দিতে হবে বলে স্বজনদের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দেয়ার পর অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে ইনজেকশন দেয়া হলেও কোনো ডাক্তার তাকে দেখেননি। রাত সাড়ে আটটার দিকে রায়েজ মারা গেলে তার স্বজনরা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাংচুর চালান। এ সময় হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের ওপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন।

পরে স্বজনরা মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ নিয়ে বাড়ি যেতে চাইলে তাতে বাধা দেন হাসপাতালের আরএমও। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মুক্তিযোদ্ধা রায়েজের ছেলে ইমরান বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসায় অবহেলা করায় ও মরদেহ নিতে বাধা দেয়ায় আরএমও এবং তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।এদিকে হুগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা জানান, তার সামনেই আরএমও তার লোকজন নিয়ে নিহত মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। স্বজনদের মরদেহ নিতে বাধা দিয়েছেন। তিনিও আরএমওর শাস্তি দাবি করেন।

তবে আরএমও শফিকুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর