উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন প্রতারক চক্রের দুই সদস্য।
মানিকগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম শাকিল আহম্মেদের আদালতে মঙ্গলবার বিকেলে তারা অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার রুদ্রেশ্বর এলাকার নাজমুল হক এবং একই উপজেলার মহিষমুড়ি এলাকার রাকিবুল ইসলাম।
মানিকগঞ্জের সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
মামলায় বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট শিবালয়ের তখনকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ কবিরের সরকারি মোবাইল ফোন নম্বরটি ক্লোন করেন প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
পরে ইউএনও পরিচয় দিয়ে উপজেলার জাফরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে দুটি ল্যাপটপ দেয়ার কথা বলে প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনকে ফোন করেন। বিকাশের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা নেয় প্রতারক চক্র। টাকা পাঠানোর পরে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান শিক্ষক বুঝতে পারেন এটা প্রতারক চক্র।
বিষয়টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়ে প্রধান শিক্ষক শিবালয় থানায় মামলা করেন। গত সোমবার রাতে লালমনিরহাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মানিকগঞ্জের সিআইডির পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারের পর দুপুরে তাদের আদালতে নেয়া হয়। সেখানে তারা বিচারকের কাছে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা দেশের সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে নানাভাবে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে থাকেন।