বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১ জুন, ২০২১ ১৯:৫৭

দুদক খুলনার উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসান বলেন, আসামিরা খুব চতুরতার সঙ্গে  বিচারক সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল অথবা স্ক্যান করেছেন। এরপর ব্যাংকেও ভুয়া স্মারকের মাধ্যমে নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছেন। সর্বমোট আত্মসাৎ করা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৪০ টাকা।

খুলনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল অথবা স্ক্যান করে কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় খুলনার দুদক কার্যালয়ে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই কর্মচারীকে। এরা হলেন- এম এম নাহিদুল ইসলাম ও মো. নাজমুল হাসান।

মঙ্গলবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক খুলনার উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসান।

মামলার বিবরণে উল্লেখ রয়েছে, মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের জারিকারক এম এম নাহিদুল ইসলাম এবং মো. নাজমুল হাসান পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া বিল ও ভাউচার তৈরি করে বিচারক সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল অথবা স্ক্যান করে খুলনা বিভাগীয় হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করতেন।

মুখ্য বিচারিক হাকিমের আনুষঙ্গিক খাতে (কোড নং- ৩২৫৫১০৫) বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৪০ টাকার বিল ছাড় করান ওই দুই আসামি।

ওইসব ছাড় করা অর্থ মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের নামে খুলনার খানজাহান আলী রোডের জনতা ব্যাংক লিমিটেডে জমা হয়। পরবর্তীতে নাহিদুল ও নাজমুল বিচারক সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর স্ক্যান করে তার কার্যালয়ের ভুয়া স্মারক ব্যবহার করে ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক বরাবর জমা দেন।

আসামি দুইজন একই ব্যাংকের পৃথক দুটি হিসাব নম্বরে টাকা জমা দেয়ার অনুরোধ করেন। এরপর জনতা ব্যাংক শাখার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হিসাবধারীকে ফোনে না জানিয়ে আসামিদের ব্যক্তিগত হিসাবে টাকা ট্রান্সফার করেন। এরপর আসামিরা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে চেকের মাধ্যমে সরকারি অর্থ নগদায়ন করে আত্মসাৎ করেন।

দুদক খুলনার উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসান মঙ্গলবার জানান, বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে তদন্ত করা হয়েছিল। টাকা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে দুই কর্মচারী বর্তমানে দুদকের কাস্টডিতে আছেন। সোমবার খুলনার দুদক কার্যালয়ে মামলা হয়েছে। তিনি মামলার বাদী এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আছেন।

তিনি আরও বলেন, আসামিরা খুব চতুরতার সঙ্গে বিচারক সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল অথবা স্ক্যান করেছেন। এরপর ব্যাংকেও ভুয়া স্মারকের মাধ্যমে নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছেন। সর্বমোট আত্মসাৎ করা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৪০ টাকা। মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেহেদি হাসান পারভেজের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর