বান্দরবানে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল মতিন প্রকাশ বাবু নামে এক মাইক্রোবাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণে সহযোগিতা ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে বাবুর বান্ধবী তাহমিনা আক্তার নামে এক নারীকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এসব মামলায় জেলা আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। কিশোরীকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বেশ কয়েক মাস ধরে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বাবু। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বান্ধবী তাহমিনার সহযোগিতায় গর্ভপাত করান বাবু।
চিকিৎসকের সহযোগিতা ছাড়া নিজেরা গর্ভপাত করানোই ওই কিশোরীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রোববার বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীর মা প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার চেষ্টা করেন।
ব্যর্থ হয়ে সোমবার রাতে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে মান-সম্মানের ভয়ে তিনি পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দেননি।
পুলিশ আরও জানায়, হাসপাতালে ভর্তির পর এক নারী বিষয়টি জানতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন। পরে পুলিশ গিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিলে সোমবার গভীর রাতে কিশোরীর মা বাবুর নামে ধর্ষণ মামলাটি করেন।
বান্দরবান সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহাগ রানা জানান, কিশোরীর মায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বাবু ও তাহমিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গর্ভপাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আরও একটি মামলা করা হয়েছে।