চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েনকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বিদেশে লোক পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ মামলায় তার দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঈন উদ্দিন ময়েন জীবননগরের গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জীবননগর উপজেলা যুবদলের সভাপতি।
স্থানীয় সরকার মঙ্গলবার বিকেলে, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন হাতে পান সীমান্ত ইউপি সচিব শামীম সরোয়ার।
এতে বলা হয়, দামুড়হুদা থানার একটি মামলায় চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন মুখ্য বিচারিক হাকিম।
তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সুপারিশও করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক। তাই তাকে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় বলে মনে করে সরকার।
এর আগে গত ১৭ মে প্রজ্ঞাপনটি জেলা প্রশাসক ও জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সোমবার বিকেলে আদেশটি কার্যকর করতে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে প্রজ্ঞাপনটি পাঠান জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন।
গত ২৪ জানুয়ারি বিদেশে লোক পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ মামলায় আদালত মঈন উদ্দিনের অনুপস্থিতিতে তাকে এই সাজা দেয়।
২৬ জানুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত মঈন উদ্দিন ময়েন চুয়াডাঙ্গা মুখ্য বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন বিচারিক হাকিম মিজানুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার লক্ষীপুর গ্রামের সালাউদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে ভালো বেতনের লোভ দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেন ময়েন। বিদেশে পাঠানোর নাম করে দুই দফায় তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ওই চেয়ারম্যান।
কিন্তু পরে আলমগীরকে বিদেশে না পাঠিয়ে টালবাহানা শুরু করেন ময়েন। এক পর্যায়ে আলমগীরের ভাই মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের ৩০ মে ময়েনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।