চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার রাত থেকে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত জনসাধারণের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ১২৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
বৃষ্টিতে নগরের প্রবর্তক মোড়, চকবাজার, বাকলিয়া, হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএসহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এ সময় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হন। কোথাও কোথাও হাটুসমান পানি জমেছে।
নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় অফিস যাওয়ার সময় দুর্ভোগে পড়েছেন আয়কর বিভাগের কর্মী সাইফুল ইসলাম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার অফিস আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক ১৯ নম্বর রোডে। সকালে অফিসে আসার সময় রাস্তায় পানি ছিল। রিকশাতে করে কোনোভাবে এসেছি। এখন অফিসের সামনে হাটুপানি।’
এদিকে বৃষ্টিতে বেকায়দায় পড়েন নিম্ন আয়ের লোকজন, যারা সবজি, ফলমূল ফেরি করে, দিনমজুরি করে সংসার চালান।
কাজির দেউড়ি ১ নম্বর গলির মুখে টং দোকানে চা বিক্রি করেন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। বৃষ্টির কারণে তার দোকান বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
জাহাঙ্গীর বলেন, দোকানে ওপরের টিন নেই। বৃষ্টি হলে পানি ঢোকে। তাই দোকান বন্ধ করে দিয়েছি।
পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু এখনো সক্রিয় থাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন এ ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।’
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।