বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৃষ্টির পানিতে সয়লাব সড়ক, সাভারে দুর্ভোগ

  •    
  • ১ জুন, ২০২১ ১৪:১৮

জলাবদ্ধতার কারণে সকাল থেকেই টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের ইউনিক থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় গাড়ি থেমে থেমে চলতে দেখা গেছে। এতে সড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকায় কোথাও কোথাও কোমর পানি জমে আছে।

ঢাকার সাভারে মঙ্গলবার ভোর থেকে ভারী বর্ষণে সড়ক হাঁটু পানিতে তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এরপর থেকেই সড়কটিতে থেমে থেমে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়া গত রোববার রাতে টানা এক ঘণ্টার বৃষ্টির পরে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড রাস্তাতেও তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানিতে আশুলিয়ায় সড়কের আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতায় বসতবাড়ি, দোকানপাট, সিএনজি স্টেশন, শিল্প কারখানায় পানি ঢুকে পড়ায় আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মঙ্গলবার ভোর থেকেই আশুলিয়ার ইউনিক, জামগড়া, শিমুলতলা, বুড়ির বাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

জলাবদ্ধতার কারণে সকাল থেকেই টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের ইউনিক থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে গাড়ি চলতে দেখা গেছে। এতে সড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকার কোথাও কোথাও কোমর পানি জমেছে।

ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েন সাভারের অনেক এলাকার বাসিন্দারা। ছবি: নিউজবাংলা

পানিতে তলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকার অকটেন ও ডিজেল নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি শিমুলতলা এলাকার আনোয়ার সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের।

মালিক আনোয়ার মৃধা বলেন, ‘বৃষ্টিতে আমার পাম্প ডুবে গেছে। ৭৫০০ লিটার অকটেন ও ১৭ হাজার লিটার ডিজেল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া কোটি টাকার কম্প্রেসার ও জেনারেটর মেশিন পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

‘নিজেরাই পানি নামানোর জন্য সেচ পাম্প দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছি। এই শিল্প এলাকায় ড্রেন না থাকায় আমরা অনেক দিন ধরেই এভাবে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির শিকার হই। কোথাও জানিয়েও কোনো প্রতিকার আমরা পাইনি।’

আশুলিয়া এলাকার বাসিন্দা হামিদা বেগম বলেন, ‘হঠাৎ কইরা ভোরে ঘরে কোমর সমান পানি ঢুকছে। আমার খাট, ফ্রিজ, আলমারি পানিতে শেষ। সকাল থাইকাই পানি সেইচা কমাইতে পারতেছি না। অ্যার কারণে অফিসেও যাইতে পারি নাই।’

পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক বাড়িঘরের আসবাবপত্র। ছবি: নিউজবাংলা

বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক খসরু পারভেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে গত দুই দিন ধরেই এই সড়কে পানি জমে আছে। আজকে অবস্থা বেশি খারাপ। বাইপাইল থেকে জামগড়া পর্যন্ত সড়ক পানিতে ভরপুর। নৌকা চলার মত অবস্থা। এতে গাড়িও খুব আস্তে চলতে হচ্ছে।

‘আমাদের ডেপ্লয়েড যানজট নিরসনে কাজ করছে। কিন্তু পানি না কমা পর্যন্ত এই সংকট নিরসন সম্ভব নয়। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ জন্য বারবার সওজ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো সুফল মেলেনি।’

সাভারে বৃষ্টিতে অলিগলিতে জমেছে হাঁটুপানি। ছবি: নিউজবাংলা

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগের টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বদিউর রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে সড়কটি সংস্কার কাজে নিয়োজিত মেইনেটন্যান্স ঠিকাদার ইমাম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা রাত-দিন পানি নিষ্কাশনে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু আশপাশের বিভিন্ন শিল্প কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানি সড়কে ছেড়ে দেয়াসহ খাল দখল করে আবসান গড়ে তোলায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও আমরা ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা তুলে পানি নিষ্কাশনের পথ সচল করার চেষ্টা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর