মাছের আড়ত দখল নিয়ে বিরোধের জেরে বগুড়ার শাজাহানপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিহাব উদ্দিন বাবুকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী।
বাবুর দাফনের পর সোমবার সন্ধ্যায় দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে এ অভিযোগ করেন রুমি বেগম। তিনি বলেন, সাগর নামের এক ব্যক্তি তার স্বামীকে হত্যা করেছেন। বাবুর সঙ্গে সাগরের অনেকদিন ধরেই বিরোধ ছিল।
শাজানাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুনও বলেছেন, বাবুর মাছের আড়ত দখল করার জন্যই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হত্যা মামলার আসামি সাগর এর আগেও একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে জামিনে মুক্তি পান।
নিহত বাবু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আগের কমিটিতে সমাজকল্যাণবিষয়টি সম্পাদক ছিলেন।
শাবরুল বাজার এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার পর সোমবার রাতে তার স্ত্রী রুমি হত্যা মামলা করেন। তাতে চারজনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয়ে চারজনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে একজন সাগর। অন্যদের নাম পুলিশ প্রকাশ করেনি।
রুমি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাবরুল বাজার এলাকায় আমাদের ব্যক্তিগত জায়গার মাছের আড়ত নিয়ে দ্বন্দ্বে সাগর নামের এক সন্ত্রাসী আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। কয়েকদিন আগে আমার চাচা শ্বশুর এসে আমার স্বামীকে বলে, তুমি একটু সাবধানে থাক। তোমাকে নাকি সাগর মারতে চায়। সারাদিন সে ঘরের মধ্যে থাকত।’
অভিযোগের বিষয়ে সাগরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি এলাকায় নেই বলে পুলিশের একাধিক সোর্স নিশ্চিত করেছে।
ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক তদন্তে চারজনকে সন্দেহ করছি। তাদের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। আর হত্যার বিষয়ে আমরা ক্লিয়ার। বাবুকে হত্যা করে মাছের আড়ত দখল করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাগরের পেছনের ইতিহাসও খারাপ। তাকে কিছুদিন আগে এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। সেই মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন দ্রুত।’
শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বলেন, ‘সাগরের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এলাকায় রয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, হত্যা সবকিছুর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তদন্ত করলে তার বিরুদ্ধে আরও কিছু বেরিয়ে আসবে।’