বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাজ না করেই বিল তোলার অভিযোগ ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে

  •    
  • ১ জুন, ২০২১ ০৯:৪৪

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া দুটি প্রকল্পে কোনো কাজই করেননি তিন ইউপি সদস্য। প্রকল্পের ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন তারা।

ফরিদপুর সদরে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে দুটি প্রকল্পে কোনো কাজ না করেই বিল তোলার অভিযোগ উঠেছে তিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। ইউএনও জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ ওঠা তিন ইউপি সদস্য হলেন কবির মোল্যা, রেজাউল করিম বাচ্চু ও লিটন বিশ্বাস সেকেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দ হওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্পে কোনো কাজ না করেই ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন তিন ইউপি সদস্য।

দুই প্রকল্পের একটিতে স্থানীয় আরিফ বাজার মাদ্রাসা থেকে আয়নাল হক মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ফেলার কথা ছিল। তবে সেখানে মাটি ফেলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাস্তায় এক কোদাল মাটিও কেটে ফেলা হয়নি। অথচ এ কাজ দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন ইউপি সদস্য কবির মোল্যা।

তাদের দাবি, অন্য রাস্তার ছবি তুলে তা বিল আকারে জমা দিয়ে ঈদের আগেই টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

অন্য প্রকল্পে ইউনিয়নের লক্ষীদাসের হাট থেকে বিষ্ণুপুর মাদ্রাসা পর্যন্ত সলিং রাস্তা মেরামত এবং কালভার্ট পুনর্নির্মাণের কথা ছিল। তবে রাস্তা ও কালভার্ট মেরামত ছাড়াই বিল দেখিয়ে তুলে নেয়া হয়েছে ১ লাখ টাকা।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এ কাজে যুক্ত ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বাচ্চু ও লিটন বিশ্বাস সেকেন পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন তিন ইউপি সদস্যই। তারা জানান, ঈদের আগে ইউএনও অফিসের লোক সরেজমিনে গিয়ে কাজ দেখে তারপর বিল দিয়েছেন। অথচ এখন বলা হচ্ছে তারা কোনো কাজই করেননি।

ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু বলেন, দুটি কাজ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন নাহার বেগম জানান, অর্ধেক বিল দেয়া হয়েছে। জুন মাস পর্যন্ত সময় আছে। এর আগেই কাজ বুঝে নেয়া হবে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার ইউএনও মাসুম রেজা বলেন, ‘দুটি প্রকল্পে কোনো কাজ না করে বিল উত্তোলনের বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে তদন্তের জন্য একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

‘যদি কাজ না করে বিল তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটে, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর