চট্টগ্রামের হামজারবাগে গৃহকর্মী নিলুফার বেগমকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার গৃহকর্তা মোহাম্মদ সেলিম ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে সোমবার দুপুরে দুই আসামিকে তুলে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। বিচারক হোসাইন মোহাম্মদ রেজা আসামিদের তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠান।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা কোহিনূর আকতার রোববার রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কল পেয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দুর্গম এলাকা থেকে নিলুফারকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিলুফার বয়স মাত্র ১৫ বছর। তিন মাস ধরে তিনি গৃহপরিচারিকার কাজ করছিল চট্টগ্রাম নগরের হামজারবাগের মোমিনবাগ আবাসিক এলাকায়।
রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম সোমবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বলেন, রাঙ্গুনিয়া থানার সহায়তায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় চট্টগ্রামের হাসপাতালে।
একটু সুস্থ হয়ে উঠলে মেয়েটি পুলিশকে জানায় তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের কাহিনি। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় গৃহকর্তা মোহাম্মদ সেলিম ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে।
নিলুফার বরাতে এএসপি আনোয়ার বলেন, ‘নিলুফার গত তিন মাস ধরে ওই বাসায় কাজ করছিল। কাজ শুরুর পরদিন থেকে তাকে নির্যাতন শুরু করে গৃহকর্তা সেলিম ও তার স্ত্রী জেসমিন। তাকে খাবার খেতে দিত না। কিছু হলেই চামচ গরম করে গায়ে ছ্যাঁকা দিত।
‘কথায় কথায় গায়ে ঢেলে দিত গরম পানি। তারা খাওয়া-দাওয়া করার সময় নিলুফাকে টয়লেটে বন্দি করে রাখত। এই তিন মাসে তাকে এক টাকাও বেতন দেয়নি।’
নিলুফাকে উদ্ধার বিবরণ দিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ওই এএসপি। নিচে স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরে হলো-
৯৯৯ এর একটি কল এবং ‘মৃত’ গৃহকর্মী নিলুফা বেগমের বেঁচে ফেরার ইতিহাস
যাত্রী ছাউনির বেঞ্চির ওপর নিসাড় অবস্থায় পড়েছিল অল্প বয়সী মেয়েটি। পায়ের পাতা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে আঘাতের চিহ্ন পড়েনি। আক্ষরিক অর্থেই পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত। এমন অজ্ঞাতপরিচয় মুমূর্ষু এক কিশোরীকে পুলিশের গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নেয়াটাও বিশাল ঝুঁকির কাজ। বাইচান্স যদি গাড়িতে মরে যায়, তখন লোকে বলবে পুলিশই হয়তো তাকে নির্যাতন করে...। কিন্তু পরিস্থিতির দাবি অনেক সময় পরিণতির ডর-ভয়কেও ভুলিয়ে দেয়। এমনিতেই তো পুলিশের এক পা রেলে, আর এক পা জেলে। যা হবার হবে।
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি সীমান্তবর্তী চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে দ্রুত রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি আমরা।
২৭ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১টায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর একটি কলে মেয়েটির ব্যাপারে জানতে পেরে দ্রুত তাকে উদ্ধারে গিয়েছিলাম আমরা। অজ্ঞাত কলার মেয়েটিকে ‘অজ্ঞান’ এবং ‘ক্ষতবিক্ষত’ হিসেবে আমাদের কাছে উল্লেখ করেছিলেন বটে, কিন্তু তার অবস্থা যে এতটাই সঙ্গিন, তা ছিল আমাদের কল্পনারও বাইরে।
মেয়েটি কথাও বলতে পারে না। টেনেটুনে অস্পষ্টভাবে যা বলে, তা থেকে শুধু বোঝা গেল, তার নাম নিলুফা, বয়স ১৫, বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ। ভিকটিমের অবস্থা খারাপ দেখে প্রাথমিক পরিচর্যা ও চিকিৎসা শেষে সেখানকার দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
যা হোক, পরামর্শ তো পাওয়া গেল। কিন্তু কে নেবে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে। দূরবর্তী এই এলাকা থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়াও অনেক টাকা। সেই ভাড়াই বা বহন করবে কে! আমরা প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। এখন বুঝি নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে তার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যালগামী অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করব! এদিকে অবনতিশীল পরিস্থিতিতে থাকা হতভাগা কিশোরীটি তখন ‘প্রায়’ অচেতন থেকে ‘পুরোপুরি’ অচেতন। হয়তো ‘স্থায়ী’ অচেতন হবার পথেই এগুচ্ছে ধীরে ধীরে। ব্যক্তিগতভাবে কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা চেয়ে যোগাযোগ করে হতাশই হতে হলো। যা করার করতে হবে দ্রুত। উপায়ান্তর না দেখে আমরা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেই ফেললাম। রোগীর সাথে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল অভিমুখী যাত্রায় আমি, ওসি রাঙ্গুনিয়া, পরিদর্শক (তদন্ত)সহ আমাদের সহকর্মী আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
প্রথমেই জরুরি বিভাগে টিকিট কাটাসহ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে সার্জারি ইউনিটের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড। ডাক্তারেরা মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসা শুরুর আগে জানতে চাইলেন, রোগীর অভিভাবক কে? এই প্রশ্নের উত্তর তো আসলে আমাদের কারও কাছেই নেই।
রাস্তার পাশ থেকে মৃতপ্রায় এক কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনেছি মাত্র। অভিভাবকের নাম ঠিকানা তো কিছুই জানি না। মেয়েটির ওপর এমন অবর্ণনীয় নির্যাতন কে বা কারা করেছে, তাও অজানা। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী কাউকে না কাউকে দায়িত্ব তো নিতে হবে। এদিকে দেরি করার মতো পরিস্থিতিও নেই। অগত্যা আমি বলে দিলাম ‘আমিই এই রোগীর অভিভাবক’। এখন চিন্তা করি, পরবর্তীতে যদি রোগীটা মারা যেত বা খারাপ কিছু ঘটে যেত, তাহলে এই অজানা-অচেনা কিশোরীর লাশ নিয়ে আমি করতামটা কী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কী বলতাম, আর মিডিয়াকেই বা দিতাম কোন জবাব। যা হোক, উপরওয়ালা সহায় ছিলেন, এ যাত্রায় খারাপ কিছু ঘটেনি।
চিকিৎসার শুরুতেই দায়িত্বরত ডাক্তার জানালেন, রোগী বিপজ্জনকভাবে রক্তশূন্য। অতি জরুরি ভিত্তিতে দুই ব্যাগ রক্ত লাগবে। এখন ডোনার ডেকে রক্ত নিতে গেলে তো কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। হাতে সেই সময়ও নেই। বাধ্য হয়ে হাসপাতাল থেকেই দুই ব্যাগ রক্ত কিনে রোগীকে দেয়ার ব্যবস্থা করলাম। কিনে আনা হলো প্রয়োজনীয় অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রও। মেয়েটিকে নিয়ে আমাদের কার কত টাকা খরচ হচ্ছে- না হচ্ছে, তখন এসব বিষয় আমাদের চিন্তাতেও নেই। সবার একটাই ভাবনা, অচেনা কিশোরীটিকে বাঁচিয়ে তুলতে হবে। ফেরত দিতে হবে তার বাবা-মায়ের কাছে। জানতে হবে, কোন মানুষ নামের পশু পুতুল খেলার বয়সী এই নিষ্পাপ মেয়েটির ওপর এমন জঘন্য অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়েছে।
চিকিৎসা ও পরিচর্যার একপর্যায়ে নিলুফা ক্ষীণস্বরে আমাদের কথার জবাব দিতে শুরু করে। খুব যে স্বতঃস্ফূর্ত জবাব, তাও নয়। এই ধরুন দশবার জিজ্ঞেস করলে হয়তো একবার উত্তর মেলে, এ রকম একটা অবস্থা। এভাবে বহু কসরত করে যৎসামান্য যা জানা গেল- মাস দুয়েক ধরে সে গৃহকর্মী হিসেবে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর এলাকার প্রবাসী সেলিম ও সুমী দম্পতির বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছে। এ ছাড়াও সে জানায় মূলত গৃহকর্ত্রী সুমীই দিনের পর দিন নির্যাতন করে করে তার এই হাল করেছে। তুচ্ছ কারণে তাকে চামচ গরম করে ছ্যাঁকা দেয়া হতো, কারেন্টের তার ও কাঠের চিকন গুঁড়ি দিয়ে পেটানো হতো। থাপ্পড়, লাথি-ঘুষি, দেয়ালের সাথে মাথা ঠুকে দেয়াও ছিল নিত্যকার রুটিন। মেয়েটি আরও জানায় যে, সেদিন সকালে বেদম মারপিটে সে অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে গৃহকর্ত্রী সুমী বাসার দারোয়ানের সহায়তায় তাকে ওই যাত্রী ছাউনিতে ফেলে রেখে চলে যায়।
আমাদের অনুরোধে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেব থানা এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নের বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের সাহায্যে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিলুফার পরিবারের সদস্যদেরকে খুঁজে বের করে ফেলেন। পরিবারের সদস্য বলতে তার মা এবং মামা।
বাবা হাবিবুর রহমান ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন আজ থেকে ১৫ বছর আগেই। নিলুফার অবস্থান তখনও মায়ের পেটেই। বিস্তারিত জেনে শোকার্ত মা-মামা, সাথে মায়ের দ্বিতীয় স্বামী হাসপাতালে নিলুফার কাছে ছুটে এসেছেন, এ পর্যন্তই। তাদের আর্থিক অবস্থা বেশ খারাপ। তিন বেলা খাবারই ঠিকমতো জোটে না, সেখানে নিলুফার চিকিৎসা চালিয়ে নেয়া তো তাদের কল্পনারও অতীত। মেয়ের উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে পারবেন না ধরে নিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন মা কোহিনূর বেগম।
এই লেখার কয়েক স্থানে নিলুফাকে আমি ‘হতভাগা কিশোরী’ বলে উল্লেখ করলেও এ পর্যায়ে তাকে আমি ভাগ্যবতীই বলব। এবার তার পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, পিপিএম স্যার। তিনি নিলুফার মাকে চিন্তা করতে বারণ করে জানালেন, নিলুফার চিকিৎসাসহ খাওয়া-দাওয়া এবং অন্যান্য সব খরচ তিনিই বহন করবেন। শুধু জানিয়েই ক্ষান্তি দেয়া নয়, তাৎক্ষণিক বাহক মারফত নগদ ৫ হাজার টাকা পৌঁছে দিলেন নিলুফার মায়ের হাতে।
কী, ভাবছেন ঘুষের টাকা। ইচ্ছেমতো ছেটাতেই পারে? আপনার পরিচিত কোনো পুলিশ অফিসার থাকলে তার কাছ থেকে জেনে নিবেন, এসএম রশিদুল হক সেসব পুলিশ কর্মকর্তাদেরই দলভুক্ত, যারা পুরো চাকরি জীবন এক পয়সাও ঘুষ বা অবৈধ উপার্জন ছাড়াই পার করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে অন্যদিন আলোচনা করা যাবে। বলতে দ্বিধা নেই, এই উদ্ধারপ্রক্রিয়ার শুরু থেকে চিকিৎসা এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ পর্যন্ত প্রতি পর্যায়ে, প্রতিমুহূর্তে স্যার আমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, করণীয় স্থির করে দিয়েছেন। এক কথায় নিলুফা নামের এক ছোট প্রাণকে পুনর্জীবন উপহার দেয়ার পেছনে মূল অনুঘটকের ভূমিকাও স্যারেরই।
প্রায় অচেতন এক কিশোরীকে বিশাল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, ডক্টরস রুম, সার্জারি ইউনিটের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডগুলোতে টানাহেঁচড়াসহ রক্ত সংগ্রহ, ওষুধপত্রাদি ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক কাজে আমার সাথে দিনভর ছোটাছুটি করেছেন এসআই রবিউল, নারী কনস্টেবল পূজা এবং নাইমুনসহ সিএমপির নাম না জানা অনেক পুলিশ সদস্য। ভূমিকা রেখেছেন রাঙ্গুনিয়ার ওসি মাহবুব মিল্কি, পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল। এসেছিলেন পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবিরও। তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
৫ দিন পূর্বে যে মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক ও প্রায় অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম, সবার দোয়ায় আজ সে উঠে বসার মতো, ধরাধরি করে দাঁড়ানোর মতো, কথা বলার মতো সুস্থ। শুধু তাই নয়, এই ৫ দিনে চিকিৎসা প্রক্রিয়া দেখভাল করতে গিয়ে নিলুর (তার এই ‘নিলু’ নামটা আমিই তাকে মনে মনে দিয়েছি; প্রকৃত নাম যে নিলুফা, তা তো জানেনই) সাথে আমাদের একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। আর সেই সূত্রেই আমরা তার কাছ থেকে নির্যাতনকারীদের বিস্তারিত নাম, ঠিকানা, অবস্থান, ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ সবকিছু বের করে নিতে পারি। আপনারা জেনে খুশি হবেন- এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকেলে রাঙ্গুনিয়া থানা এবং পাঁচলাইশ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিলুর শনাক্তমতে নির্যাতনকারী দম্পতি চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগের মোমিনবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম, তার স্ত্রী জেসমিন ওরফে সুমী এবং বাড়ির দারোয়ান আকবর আলীকে হেফাজতে গ্রহণ করে। নিলু পুলিশের সঙ্গে সশরীরে উপস্থিত হয়ে নির্যাতনকারীদেরকে দেখিয়ে দেয় এবং নির্যাতনের রোমহষর্ক বর্ণনা দেয়। পরবর্তীতে রাতে নিলুর মা কোহিনূর বেগম বাদী হয়ে উল্লিখিত ব্যক্তিদেরকে আসামি করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন।
ছোট্ট নিলুর ওপর আঁতকে ওঠার মতো ভয়ংকর পদ্ধতিতে দিনের পর দিন যেসব নির্যাতন চলেছে, তার উপযুক্ত বিচার ইনশাআল্লাহ এবার সে পাবে। এ কথা এখন তো বলাই যায়, কী বলেন সবাই! অতি অল্প বেতনে ঘরের সকল কাজের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নেয়া আমাদের এই অতি আপনজনদের ওপর সকল ধরনের নিষ্ঠুরতা- নির্মমতা চিরতরে বন্ধ হোক।