নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালানোর সময় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ১৪ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মিরসরাই থেকে আরও ১০ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরকে পালাতে সহযোগিতা করা তিন বাংলাদেশি দালালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার রাতে মিরসরাইয়ের ইছাখালী এলাকার চরসড়ক থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে তিনটি শিশু রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত রোহিঙ্গারা হলেন নূরজাহান বেগম, আছিয়া বেগম, মনিয়া বেগম, রেহানা আক্তার, নূর খাইয়াছ, কহিনা আক্তার, জান্নাতুল নাইমা, জেসমিন আক্তার, জিসান ও মিনারা বেগম।
দালার চক্রের তিন সদস্য হলেন সন্দ্বীপের দিদারুর আলম, সুবর্ণচরের বেলাল হোসেন ও মো. জুয়েল।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন নিউজবাংলাকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা দালালদের সঙ্গে ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভাসানচর থেকে বের হয়েছেন।
এ ঘটনায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা এবং দালাল চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা করা হয়েছে।
ওসি নুর হোসেন জানান, সোমবার বিকেলে তাদেরকে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে ভাসানচর থেকে পালিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার সময় সন্দ্বীপে রোববার সকাল ৮টার দিকে ১৪ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এদের মধ্যে আটজন নারী, দুইজন পুরুষ ও চারজন শিশু ছিল।
মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদেরচেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান নিউজবাংলাকে জানান, সকালে ১৪ রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে নৌকায় চৌধুরীবাজার এলাকায় এলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। তারপর চেয়ারম্যান পুলিশে খবর দেন।
সন্দ্বীপ থানার ওসি বশির আহমেদ খান জানান, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।