কর্মস্থলে যোগদানের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব), উপ-উপাচার্য, রেজিস্টারসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করেছে এডহকের নিয়োগ প্রাপ্তরা।
সকাল ১১টার কিছুক্ষণ পর থেকেই তারা উপাচার্য সম্মেলন কক্ষে অবস্থান করছে। যোগদানের দাবিতে আন্দোলনরত অধিকাংশই সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। সদ্য বিদায়ি উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের শেষ কর্মদিবসে তাদের নিয়োগ প্রদান করা হয়।
সোমবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তরা। বেলা এগারটা দিকে উপাচার্য সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিসহ ডীনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এর কিছুক্ষণ পরই নিয়োগপ্রাপ্তরা সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা কর্মস্থলে পদায়নের দাবি জানান। এসময় ডীনরা সভাস্থল ত্যাগ করে।
পরে নিয়োগপ্রাপ্তরা উপাচার্যসহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তাব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার কাছে কর্মস্থলে যোগদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়।
জবাবে অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, এটা তার একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। ঢাকার নির্দেশনা ও সিদ্ধান্তের বিষয় আছে বলে তিনি নিয়োগপ্রাপ্তদের জানান। এজন্য তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্তরা তার এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট হতে না পেরে সম্মেলন কক্ষেই অবস্থান নেন।
দুপুরে এক পর্যায়ে প্রশাসনের শীর্ষব্যক্তিরা নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে সময় নিয়ে নিজেরা বৈঠক করেন। এরপর বৈঠকে বসেন নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে। কিন্তু কোনো সুরাহা না হওয়ায় নিজেদের অবস্থানেই রয়ে গেছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমন বলেন, আমরা গত ০৬ মে চাকরিতে যোগদান করেছি। আমরা নিজ দপ্তরে যোগদান করতে এসেছি। কিন্তু রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে যোগদানে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। যদিও তিনি বলছেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেন নি। তাই আমরা যোগদানের দাবিতে অবস্থান করছি।
রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলছেন, নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তার ওপর মন্ত্রণালয় এটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এই অবস্থায় পদায়ন করা সম্ভব নয়।