লিচুবাগান ও জমিজমা নিয়ে ভাই-বোনদের মধ্যে বিরোধ, যা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এ অবস্থায় বাগান থেকে লিচু নামানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ। আর এতে গাছেই নষ্ট হচ্ছে ফল।
ঘটনাটি পাবনার ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর মধ্যপাড়ার। এই গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক।
তিনি জানান, ২০০০ সালে তার বাবা মহিউদ্দিন প্রামাণিক মারা যান। এরপর তাদের তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে জমিজমা ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়। এতে তিনি প্রায় ৫৯ শতাংশ জমি ও কিছু লিচুগাছ পান। সেই জমিতে আরও কিছু গাছ রোপণ করে বড় করেন।
প্রায় ২০ বছর ধরে ভোগদখলে থাকা ওই জমির ২২ শতাংশ তিনি দুই জনের কাছে বিক্রি করেন। বাকি জমিতে বসতভিটা ও ১৫টি লিচুগাছ রয়েছে।
শামসুল হকের অভিযোগ, তিনি নিঃসন্তান হওয়ায় তার অন্য দুই ভাই ও বোনেরা ষড়যন্ত্র করে তার জমিজমা দখলে নিতে উঠেপড়ে লাগে।
জয়নগর বোর্ড অফিস মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ভাগনে হিমু, ভাতিজা শিশির, ভাই এনামুল হক ও আসাদুল হক তার পথরোধ করে গালাগাল করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়। ভাগনে হিমু তার ডান পায়ে গুলি করে। ছিনিয়ে নেয় তার সঙ্গে থাকা ৩০ হাজার টাকা। সেই ঘটনায় মামলা করেন তিনি।
শামসুল জানান, ওই মামলায় আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। পরে মামলা তুলে নিতে তাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, বাগান দখলের চেষ্টা হলে গত ২৫ মে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। প্রতিক্রিয়ায় আসামিরাও পাল্টা অভিযোগ করেন। আর এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগের জেরে ওই বাগান থেকে লিচু নামানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়ে নিউজবাংলাকে ভাগনে হিমু জানান, বিরোধ পারিবারিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
তবে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘লিচু পাড়া নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লিচু পড়ে নষ্ট হলেও আমার কিছু যায় আসে না। ওই বাগানের লিচু পাড়তে যে যাবে তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে।’