হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পাবনার ইছামতী নদী পুনর্খনন ও উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়নের দাবিতে পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও ও বিক্ষোভ করেছে পাবনা ইছামতী নদী উদ্ধার আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় বেশ কিছু সামাজিক সংগঠন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঘেরাও করে ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ইছামতী উদ্ধার আন্দোলন ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের পাবনা শাখা এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএআরডি) সদস্যরা।
পরে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন তারা।
এক ঘণ্টা ধরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষোভকারীরা।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুল রহিম পাকন বলেন, ‘পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই ইছামতী নদী পুনর্খননের। দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের পরে সরকার ইছামতী নদী পুনরুজ্জীবিত করার জন্য টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়া এই নদীর খনন ও উচ্ছেদ কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বললেই চলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই খনন কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে কাজ করে নদী খনন দেখাতে চাইছে। সরকারের এই উন্নয়ন নদী খনন কাজ নিয়মমাফিক না করে নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করে অর্থ উত্তোলন করার পাঁয়তারা করছে তারা। এই কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো রকমের নজরদারি করছে না। তাই হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশ ও নদী খননের দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী পরিকল্পনামাফিক নদী খনন করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।’
নদী খননের কাজ যদি সঠিক নিয়মে না করা হয়, তবে আগামীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয় এই কর্মসূচি থেকে।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সহসভাপতি আইনজীবী তসলিম হাসান সুমন, ইছামতী নদী উদ্ধার আন্দোলনের সভাপতি এস এম মাহাবুব আলম, বাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ খান, নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুর রহমানসহ অনেকে।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, ইছামতী নদী খনন কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে এবং ঠিকভাবে কাজ করার জন্য তদারকি করা হবে। কাজের মান ঠিক না থাকলে এই কাজের জন্য কোনো অর্থ উত্তোলন করতে দেয়া হবে না।