বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রণোদনা তালিকায় নাম তুলতে টাকা আদায়

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ মে, ২০২১ ১০:৪২

প্রণোদনা তালিকায় নাম তুলতে ডেইরি ও পোলট্রি খামারিদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে এক থেকে তিন হাজার টাকা করে। পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাকা নিয়েও তালিকায় নাম দেননি এমন অভিযোগ অনেক খামারির।

পাবনার আটঘরিয়ায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতাধীন ডেইরি ও পোলট্রি খামারিদের প্রণোদনা তালিকা তৈরীতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নাম তুলতে খামারিদের কাছ থেকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক থেকে তিন হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। খামারিরা এমন অভিযোগ জমা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কাছে।

প্রকৃত খামারিদের নাম প্রণোদনা তালিকায় স্থান পেয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরের দিকে প্রায় অর্ধশতাধিক খামারি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ঘিরে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

খামারিদের অভিযোগে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এলডিডিপির আওতাধীন ডেইরি ও পোলট্রি খামারি উদ্যোক্তাদের নগদ আর্থিক সহায়তার (প্রণোদনা) ঘোষণা দেয় সরকার। এজন্য আটঘরিয়া উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ ও অসচ্ছল খামারিদের একটি তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। তালিকায় নাম তুলতে ঘুষ হিসেবে নেয়া হচ্ছে এক থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।

দেবোত্তর ইউনিয়নের মতিগাছা গ্রামের মুরগী খামারি মুনসী মানিক বলেন, ‘এই তালিকায় নাম তুলতি আমারে পইত্তেক খামারিদের কাছ থেইকে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা নিছে। আমরা খামরিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।’

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, প্রান্তিক খামারিদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের সরকারি ঘোষণার আলোকে আটঘরিয়া উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নে মোট ২ হাজার পোলট্রি ও গাভী পালন খামারিকে টার্গেট করে তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে প্রকৃত খামারিদের ছবি তুলে তালিকা প্রস্তুত করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তালিকায় যাদের নাম নেই তারাই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফুয়ারা খাতুনকে বারবার ফোন করেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আটঘরিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা গোপনে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এ বিষয়ে আমার কাছে খামারিদের লিখিত অভিযোগ এসেছে। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর