ঢাকার সাভারে হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের কোথাও কোথাও হাঁটুপানিতে ডুবে গেছে। এতে করে ব্যস্ততম এই সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে জনদুর্ভোগ চরমে ওঠে।
রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ করে বৃষ্টি নামে। টানা এক ঘণ্টা বৃষ্টি চলে। বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যায়। পানিতে ডুবে যাওয়ায় রাত ৯টা থেকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদও এই যানজটে আটকে গাড়িগুলোকে ধীরগতিতে চলতে দেখা গেছে। মহাসড়কের পাশে বেশ কিছু দোকানেও পানি উঠে যায়।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, বারবার লিখিত ও মৌখিকভাবে সওজকে এই সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য বলা হলেও কোনো ফল মেলেনি। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে।
আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক আলমঙ্গীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নবীনগর থাইকা যাত্রী লইয়া ৯টার দিকে রওনা দিছি। রাইত ১০টা বাজে এখনো নরসিংহপুর পার হইতে পারি নাই। রাস্তা পানিতে ডুইবা যাওনে প্রচুর জ্যাম লাগছে। এই রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি থাকায় আমাগো আস্তে আস্তে যাইতে হইতাছে।’
শাকিল খান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রোদের সময়ও এই সড়কে আশপাশের কারখানা ও বাসাবাড়ির পানি জমে থাকে। তখনও যানজট হয়। আর বৃষ্টি হলেতো কথাই নাই। অনেক জায়গা হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। তখন দীর্ঘ সময় আমাদের যানজটে আটকে থাকতে হয়। এ ছাড়া এই সড়কের দুই পাশে অনেক পোশাক কারখানাও আছে। কারখানা ছুটির পর রাতে শ্রমিকরা বাইরে এলে যানজটে দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছায়।’
বাইপাইলে ট্রাফিক পুলিশের ইনসপেক্টর খসরু পারভেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই রোডে একবারে কোমরসমান পানি জমে গেছে। ওই দিকে গাড়ি একেবারেই মন্থর গতিতে যাচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে ড্রেনেজ সিস্টেম একেবারেই নেই। যানজট নিরসনে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ রাতভর অনেক কষ্ট করে যাচ্ছে।’
এসময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ তো শুধু ইমপ্লিমেন্ট করে। আর ড্রেনেজ সিস্টেমের বিষয় তো ইঞ্জিনিয়াররা দেখেন। এখানে পানি জমার বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে সওজকে জানিয়েছি। আমাদের এখানে ড্রেন করা দরকার এটা তাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই।’