পাবনায় শাকিল আহমেদ নামের এক কাপড় ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী ও ভাইসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক তিনজন হলেন শাকিলের স্ত্রী মীম খাতুন, ভাই সাব্বির আহমেদ ও চাচাত ভাই শান্ত হোসেন।
শুক্রবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদী শহরের সরকারি কলেজের সামনে রূপনগরের মাহাতাব কলোনির ভাড়া বাসায় শাকিলকে হত্যা করা হয়।
শাকিলের বাড়ি উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের প্রতিরাজপুরের দুবলিয়া গ্রামে। তিনি ঈশ্বরদী বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
রোবববার দুপুরে তার মামা কোরবান আলী ঈশ্বরদী থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মীমের সঙ্গে শাকিলের বনিবনা হচ্ছিল না। তাদের ছাড়াছাড়ি হওয়ার উপক্রম হয়। একপর্যায়ে মীম তার বাবার বাড়ি চলে যান। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে বুঝিয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে স্ত্রীকে নিয়ে আসেন শাকিল। তিনি কলোনিপাড়ায় বাসা ভাড়া নেন। ওই বাসা থেকেই শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তার স্ত্রী মীমের দাবি, ‘শুক্রবার রাতে ৫/৬ জন যুবক এসে আমার হাত-পা বেঁধে তাকে (শাকিল) শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়।’
শাকিলের মামা মুলাডুলির ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য তারা মালিথা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শাকিলের মোবাইল থেকে মীম ফোন করে তাকে জানান, ‘শাকিল কি যেন খেয়েছে, কথা বলছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দূরে থাকায় ওই এলাকার আত্মীয়স্বজনকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে যায়। গিয়ে দেখে শাকিলের লাশ সামনে নিয়ে তার স্ত্রী বসে আছে। এ সময় উপস্থিত লোকজন শাকিল মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে মীম বলে ৪-৫ জন লোক এসে শ্বাসরোধে শাকিলকে হত্যা করে চলে গেছে।’
তবে শাকিলের বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে কারও সাথে কোনোদিন খারাপ আচরণ করেনি। কারও সাথে তার বিরোধ ছিল না। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি খুনিদের ধরতে পুলিশের কাছে অনুরোধ জানাই।’
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাকিলের ছোট ভাই সাব্বির, চাচাতো ভাই শান্ত ও তার স্ত্রী মীমকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরিবারের আরও ৬/৭ জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।