করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার বাস চলাচলে সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া দিয়েও পাচ্ছে না সুরক্ষা। টার্মিনালে দূরপাল্লার বাসে অর্ধেক সিট ফাঁকা রাখার বাধ্যবাধকতা মেনে মাঝপথে তোলা হচ্ছে যাত্রী।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ রোধে সারা দেশে ট্রেন, লঞ্চ ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ ছিল ৪৯ দিন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচলে সরকারি অনুমতি মেলে ২৪ মে। এতে বাস ভাড়া বাড়ানো হয় ৬০ শতাংশ।রোববার দুপুরে রংপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কামারপাড়া-ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড, মডার্ন মোড়, মেডিক্যাল মোড় এবং সাত মাথা স্ট্যান্ড ছিল অনেকটাই ফাঁকা।ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আব্দুল্লাহ নিউজবাংলাকে জানান, আগে রংপুর-ঢাকা রুটে বাসের এক সিটের টিকিটের দাম ছিল ৫০০ টাকা। এখন দুই সিট একসঙ্গে বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা।এসআর ট্রাভেলসের (এসি হোন্ডাই) কাউন্টার ম্যানেজার রতন মিয়া জানান, আগে (রংপুর থেকে ঢাকাগামী) এক সিট বিক্রি হতো ১৫০০ টাকা, এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা।রংপুর থেকে দিনাজপুরগামী রাবেয়া এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার আব্দুস সাত্তার জানান, আগে ভাড়া ছিল ১১৩, এখন ১৮০ টাকা নেয়া হচ্ছে। দুই সিট মানে একজন যাত্রী বসতে পারবেন।
একইভাবে রংপুর থেকে রাজশাহীর আগের ভাড়া ২৮০ টাকা, এখন ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। তবে, আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস আগের ভাড়া নিয়ে আগের নিয়মেই চলাচল করছে।কুড়িগ্রাম থেকে মিনিবাসে আসা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাস টার্মিনালে লোক না তুললেও মাঝরাস্তায় ঠিকই লোক তুলছে। স্বাস্থ্যবিধি নেই, দূরত্ব নেই। লোক দাঁড় করিয়ে আনছে। এ বিষয়ে কেউ দেখছে না।’
রংপুর বাস, মিনিবাস মালিক সমিতির সহসভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনে বাস চালাচ্ছি। সেই অনুযায়ী চালক ও হেলপারকে নির্দেশনা দেয়া আছে।’
রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত আছে। কেউ যেন বেশি ভাড়া নিতে না পারে, সে বিষয়েও আমরা তৎপর রয়েছি।’