খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার গাজিরহাট এলাকার বামনডাঙ্গা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় দুই পক্ষে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, গ্রামের মীর বংশের ছেলে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি শনিবার বিকেলে পাশের বিলে গরু আনতে গিয়েছিলেন। এ সময় বামনডাঙ্গা এলাকায় কয়েকজন কিশোর-যুবক নিজেদের মধ্যে মারামারি করছিল। সোহেল তাদের মারামারি থেকে নিবৃত্ত করতে গেলে পাশে অবস্থানরত মোল্লা বাড়ির কয়েকজন তাকে বেদম মারপিট করে।
তাদের হাতে থাকা বল্লম দিয়ে সোহেলের নাভির নিচে ও দা দিয়ে পিঠে কোপ দেয়া হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়।
পরে তার আত্মীয় স্বজনরা তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় জেরে রোববার সকালে মীর বংশের লোকজন ঢাল, সুড়কি, বর্ষা নিয়ে মোল্লা বাড়ির লোকজনের ওপর চড়াও হয়।
এ বিষয়ে দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসানউল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র গাজিরহাট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ আহত হয়েছে। তাদেরকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’