পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিএসআরএম এর মীরসরাইয়ের কারখানা দুই মাস বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন।
কারখানাটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি তোলায় স্থানীয় জনসাধারণ অগভীর নলকূপ থেকে পানি পাচ্ছে না বলে অভিযোগ তার।
তিনি জানান, বিএসআরএম কথা দিয়েছিল গভীর নলকূপে পানি না তুলে ফেনী নদী থেকে পানি এনে কারখানায় ব্যবহার করবে। কিন্তু তারা সে কথা রাখেনি। আগামী দুই মাসের মধ্যে সেই ব্যবস্থা করলেই কেবল তারা কারখানা চালু করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের দুই মাস সময় দিলাম, এই দুই মাস কারখানায় কোনো কাজ চলবে না। কোনো কাঁচামাল কারখানায় ঢুকতে দেয়া হবে না।’
রোববার চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এই ঘোষণা দেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দেয়নি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য বলেন, ‘শিল্প কারখানার প্রয়োজন আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ১০১ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়েছেন। আমাদের মিরসরাইয়েও ১২ হাজার একর একটি শিল্প জোন আছে। এক বছরের মধ্যে সেই শিল্প অঞ্চলে যেন বিএসআরএমের কারখানা স্থানান্তরিত করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিএসআরএমের সঙ্গে কথা ছিল তারা ফেনী নদী থেকে পানি এনে প্রতিষ্ঠানটি চালাবে। কিন্তু তারা সরকারকে ফাঁকি দিয়েছে। তারা মিরসরাইবাসীকে ফাঁকি দিয়েছে। তারা ফেনী নদী থেকে পানি না এনে এখানে ১০ থেকে ১২ টা গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে।’
গভীর নলকূপ থেকে পানি তোলায় কী ক্ষতি হচ্ছে সেটিও তুলে ধরেন মোশাররফ। বলেন, ‘বিএসআরএমের গভীর নলকূপের কারণে মিরসরাইবাসী এখন অগভীর নলকূপ থেকে পানি পাচ্ছেন না। খাওয়ার পানি নেই, পুকুর শুকিয়ে গেছে, ডোবা শুকিয়ে গেছে।’
বিএসআরএম বনের জমি দখল করেছে বলেও অভিযোগ করেন সাবেক এই মন্ত্রী। বলেন, পেছনে যে ছড়া ছিল, এলাকাবাসী সেখান থেকে পানি আনত, সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে।
সাতদিনের মধ্যে গভীর নলকূপ দিয়ে পানি তোলা বন্ধ করার সময় বেঁধে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউএনও এবং পুলিশ অফিসাররা সেটা ভিজিট (পরিদর্শন) করে আসবেন। আর বন্ধ না করলে আমরা গিয়ে জব্দ করে নিয়ে আসব।’
মানবন্ধনে বারৈয়ারহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বারৈয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।