গাজীপুরে যুবকের ছয় টুকরা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে শনাক্ত হয়েছে ওই যুবকের পরিচয়।
সুমন মোল্লা নামের ওই যুবকের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার গোলা বরননী বাজারে। তিনি তার স্ত্রীসহ গাজীপুরের সারদাগঞ্জ হাজী মার্কেট এলাকায় ভাড়া থেকে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কার্যালয়ে রোববার দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে উপপুলিশ কমিশনার জাকির হাসান জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ এলাকা থেকে আরিফা বেগম ও তনয় সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২১ এপ্রিল সারদাগঞ্জ হাজী মার্কেট এলাকায় একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের হাত, পা ও মাথাবিহীন একটি দেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন হত্যা মামলা করেন।
তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ আরিফা ও তনয়কে গ্রেপ্তার করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী হাজী মার্কেটের পুকুর পারের ময়লার স্তূপ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি, করাত ও নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
তেঁতুইবাড়ি ময়লার ভাগাড় থেকে উদ্ধার করা হয় ওই যুবকের শরীরের বাকি পাঁচ টুকরা।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আরিফা ও তনয়ের মধ্যে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে সুমন তনয়কে কয়েকবার মারধর করে। এজন্য তারা সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯ এপ্রিল সুমনকে হত্যা করে দেহ ছয় টুকরা করে দুই জায়গায় ফেলে রাখা হয় যাতে কেউ শনাক্ত করতে না পারে।