নেত্রকোণার পূর্বধলায় লাক মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাননি বরং ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য জানান।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ঘোমকান্দা গ্রাম থেকে লাক মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই তার বড় ভাই তাঁরা মিয়া ও ভাবি রুমা আক্তারকে আটক করা হয়।
শনিবার ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে পূর্বধলা থানায় হত্যা মামলা করেন লাক মিয়ার বাবা আবু সিদ্দিক ফকির।
এ মামলায় তাঁরা মিয়া ও রুমাকে রোববার দুই দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। নেত্রকোণার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আব্দুল হামিদ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ আদেশ দেন।
ওসি শিবিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর খবর শুনে তিনি ফোর্সসহ লাক মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের দাবি জানান স্থানীয় লোকজন। তবে সন্দেহ হওয়ায় তিনি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
তিনি আরও জানান, ওই সময় সন্দেহভাজন হিসেবে লাক মিয়ার বড় ভাই ও ভাবীকে থানায় নেয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
এজাহারে আবু সিদ্দিক জানান, ৪-৫ মাস আগে রুমার সঙ্গে লাক মিয়ার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি সম্প্রতি এলাকায় জানাজানি হয়।
দুই দিন আগে তিনি ও তার স্ত্রী আছমা খাতুন ঢাকায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে বড় ছেলে তাঁরা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা শ্বাসরোধে লাক মিয়াকে হত্যা করে।
তিনি আরও জানান, হত্যার পর মোবাইল ফোনে তাকে জানানো হয় লাক মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন। তবে তিনি বাড়িতে গিয়ে ছেলের থুতনিতে ও বুকে দাগ দেখতে পান।