বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জফেরত ৩৪ জনের মধ্যে ১৪ জনের করোনা

  •    
  • ৩০ মে, ২০২১ ২০:১৭

স্থানীয় লোকজন জানান, ব্যবসা করতে ওই ব্যক্তিরা ঈদের আগে সিন্দুর খান এলাকায় যান। ঈদের ছুটি শেষে শুক্রবার তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শ্রীমঙ্গল ফেরেন। খবর পেয়ে পরে তাদেরকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে করোনা পরীক্ষা করায় স্বাস্থ্য বিভাগ।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকায় ফেরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৪ মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীর মধ্যে করোনা পরীক্ষায় ১৪ জনের পজিটিভ এসেছে।

এসব ব্যবসায়ীরা শুক্রবার সিন্দুরখান এলাকায় ফেরেন। শনিবার তাদের করোনা পরীক্ষার ফল পাওয়া যায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, ব্যবসা করতে ওই ব্যক্তিরা ঈদের আগে সিন্দুর খান এলাকায় যান। ঈদের ছুটি শেষে শুক্রবার তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শ্রীমঙ্গল ফেরেন। খবর পেয়ে পরে তাদেরকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে করোনা পরীক্ষা করায় স্বাস্থ্য বিভাগ । এতে ৩৪ জনের মধ্যে ১৪ জনের শরীরেই করোনা শনাক্ত হয়।

জেলা সদরের বড়কাপন ও চাঁদনিঘাট এলাকায় আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরও ৭১ জনকে লকডাউনের আওতায় এনেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বড়কাপন এলাকায় ৬৩ ও চাঁদনিঘাটে ফেরা আটজনের সোমবার করোনা পরীক্ষা করা হবে।

জেলার সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চাঁপাই থেকে আসলে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৪ জনের পজিটিভ পাওয়া যায়। জেলা সদরের বড়কাপন ও চাঁদনিঘাট এলাকায় আসা অন্যদেরও শনাক্ত করে পরীক্ষা করা হবে।

টিকা শেষ, করোনা পরীক্ষায়ও ভোগান্তি

মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় মৌলভীবাজারে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে গেছে। এ ছাড়া করোনা পরীক্ষায়ও নানা ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সবচেয়ে সংকটে পড়েছেন বিদেশে যেতে আগ্রহীরা।

ইকবাল হোসেন ও আলম মিয়া নামে দুইজন নিউজবাংলাকে জানান, তারা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিতে গিয়ে দেখেন টিকা নেই। কবে টিকা দেয়া হবে, কর্তৃপক্ষ তাও জানাতে পারেনি।

জেলা সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করতে আসা অনেকে ভোগান্তির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন।

হাবিব মিয়া ও জহির উদ্দিন নামে দুইজন নিউজবাংলাকে জানান, তারা করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে ফরম পাননি। সকাল থেকে ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও ফরম দেয়া হয়নি। হাসপাতালের কাউন্টার থেকে তাদের জানানো হয়, ১৯টি ফরম এসেছিল, শেষ হয়ে গেছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে অন্য কথা। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফয়সল জামান বলেন, ‘অনেকেই অশিক্ষিত হওয়ায় ফরম পূরণ করতে পারে না। অনেক ভুল করে। এজন্য সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ফরম দেয়া হয়। আধ ঘণ্টায় সেগুলো সঠিক কি না যাচাই করে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কেউ হয়তো পরে আসাতে ফরম পাননি।’

সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

এ বিভাগের আরো খবর