নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারির জামিন আবেদন গ্রহণ না করে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
জেলা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান রোববার দুপুরে রুহুল আমিনকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এই মামলার আরেক আসামি পৌর জামায়াতের আমির মাসুদ পারভেজ রাসেলকে জামিন দিয়েছে আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার শিল্পী ও শরীফ উদ্দীন হাসু।
কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার শিল্পী নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলায় বলা হয়, গত ১৯ মার্চ রাতে জনগণ ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কবরী রোডের দক্ষিণ পাশ থেকে জামায়াত নেতা শরীফকে আটক করে পুলিশ।
তার কাছ থেকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের লেখা ‘বিতর্কিত’ বইসহ সাত শতাধিক ‘জিহাদি’ বই উদ্ধার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি রুহুল আমিনের বাড়ি থেকেও একই ধরনের বই উদ্ধার করা হয়।
- আরও পড়ুন: ‘বিতর্কিত’ বইসহ জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
তবে রুহুল আমিন পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান নিউজবাংলাকে জানান, শরীফের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপ ও অপতৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
মামলায় শরীফ ছাড়াও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি রুহুল আমিন, পৌর জামায়াতের আমির মাসুদ পারভেজ রাসেল এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার পর ২৪ মার্চ হাইকোর্ট থেকে রুহুল আমিনসহ মামলার অন্য আসামিরা অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববার তারা বিচারিক আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।