ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে বিপাকে পড়েছেন সাতক্ষীরার দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
চার উপজেলার ২৭ ইউনিয়নের মানুষ এখন নিজের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্য জায়গায়। জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হাসান খান নিউজবাংলাকে জানান, ইয়াসের প্রভাবে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের নয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। আটটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিলেও স্থানীয় লোকজন দুই জায়গা মেরামত করতে পেরেছে। বাকিগুলো বাঁধা সম্ভব হচ্ছে না।
ভাটার টানে নদীতে পানি নামার আগেই জোয়ার শুরু হওয়ায় প্রতিদিন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের জোয়ারে প্রতাপনগর ইউনিয়ন পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। ফলে দুই শতাধিক পরিবার বাড়ি ছেড়েছে।
গত ২৭ ও ২৮ মে খাজরা ও নাংলায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙলেও তা বেঁধে ফেলা হয়েছে।
কালীগঞ্জের ইউএনও খন্দকার রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের হাদদ্দহ দক্ষিণপাড়ায় গত ২৭ মে ইছামতী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা ওই বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় ভাটা শেষ না হতেই জোয়ার শুরু হওয়ায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী এই প্রথম নদীভাঙনে মথুরেশপুরের সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজার গিফারী বলেন, ‘এই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। নয়টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ সংস্কার করতে না পারায় প্রতিদিন জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকছে।
পানিবন্দি মানুষের খাবার ও চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
তিনি আরও জানান, জোয়ারের তীব্রতা কমে গেলে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।