বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাকে খাবার দেয়া নিয়ে মামলা, বাড়ি ছাড়া তিন পরিবার

  •    
  • ২৯ মে, ২০২১ ১৮:৪৮

স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসক তাদের মাকে তৈলাক্ত খাবার দিতে নিষেধ করেছেন। এ কারণে মেয়ের নিয়ে আসা তৈলাক্ত খাবার মাকে না খাওয়াতে নিষেধ করেছেন ভাইয়েরা। কিন্তু এরপরেও রেবেকা ও তার ছেলে খাবারের জন্য জোর করে। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

নওগাঁর মহাদেবপুরে শয্যাশায়ী বৃদ্ধা মাকে তৈলাক্ত খাবার দিতে নিষেধ করায় তিন ভাই ও ভাতিজার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে বোনের বিরুদ্ধে।

মামলার বাদী রেবেকা খাতুন উপজেলার বাখরাবাদ এবং আসামি ভাইয়েরা একই উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা।আসামিরা হলেন রেজাউল হক নান্নু, তার ছেলে সাব্বির আহমেদ সাগর ও স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মুন্নু, তার ছেলে মেহেদী ও মুন্নুর স্ত্রী মাহমুদা খাতুন এবং মন্জুরুল হক মন্জু।মামলা এজাহার বলা হয়েছে, বাদী ও বিবাদীর মা ৮৫ বছর বয়সী রাজিয়া সুলতানা দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। মাকে ছেলেরা ঠিকমতো দেখাশুনা করেন না। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানার পর রেবেকা খাতুন দুই ছেলেকে নিয়ে ঈদুল ফিতরের দিন খাবার নিয়ে শ্যামপুর গ্রামে মাকে দেখার জন্য যান। এ সময় তাকে তার ভাই ও ভাতিজারা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এমনকি সঙ্গে নিয়ে যাওয়া খাবার দিতেও বাধা দেন।

বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানান রেবেকা খাতুন। পরদিনও সুরাহা না হওয়ায় তিনি ছেলেকে নিয়ে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে আবারও দেখা করতে যান।

এসময় তার ভাইয়েরা রেবেকা খাতুনকে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে না দিয়ে তাকে ও তার ছেলেকে মারধর করে জখম করে। পরে তিন ভাই ও ভাতিজাসহ সাত জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন রেবেকা।

স্থানীয়রা জানান, রাজিয়া সুলতানা প্রায় এক বছর ধরে দুই পা ভেঙে শয্যাশায়ী। গোসল, খাওয়া ও প্রাকৃতিক কাজ বিছানায়ই করেন। তিন ছেলে পালা করে তাদের মাকে দেখাশোনা করে আসছেন।

তারা জানান, চিকিৎসক তাদের মাকে তৈলাক্ত খাবার দিতে নিষেধ করেছেন। এ কারণে মেয়ের নিয়ে আসা তৈলাক্ত খাবার মাকে না খাওয়াতে নিষেধ করেছেন ভাইয়েরা। কিন্তু এরপরেও রেবেকা ও তার ছেলে খাবারের জন্য জোর করে। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

রাজিয়া সুলতানার বড় ছেলে রেজাউল হক নান্নু বলেন, ‘ডাক্তার মাকে তৈলাক্ত খাবার খাওয়াতে নিষেধ করেছেন। এ ধরনের খাবারে মা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বোনেরা মাকে দেখে ২-১ দিন থেকে চলে যাবে। কিন্তু তারা তো আর দেখাশোনা করে না।’

তিনি বলেন, ‘এজন্য তাদের নিয়ে আসা তৈলাক্ত খাবার খাওয়াতে নিষেধ করায় উল্টা আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। আবার আদালতে গিয়ে মিথ্যা মামলাও করেছে। এ কারণে আমাদের তিন পরিবারের সবাই এখন বাড়ি ছাড়া।’এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রেবেকা খাতুন ও তার ছোট ছেলে রুহুল দুজনের নাম্বারেই ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা রং নাম্বার বলে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। পরে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ না মেলায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মহাদেবপুর থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক (এসআই) জয়দাস বলেন, ‘মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর