গাজীপুরে তালাক দেয়ায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তার নাম রতন আলী। তিনি যখন ছুরিকাঘাত করেন, তখন এলাকাবাসী হাতেনাতে আটক করে তাকে পুলিশে দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি জানিয়েছে, মাস চারেক আগে রতন বিয়ে করেন আরজিনা আক্তারকে। তবে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি চলে আসছিল।
বুধবার সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বাজারে কাজি অফিসে গিয়ে রতনকে তালাক দিয়ে মোবাইল ফোনে জানান আরজিনা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রতন ছুরি নিয়ে মৌচাক বাজারে আসেন। বাড়ি ফেরার পথে সুফিয়া হাসপাতালের সামনে আরজিনার গতিরোধ করে ছুরি দিয়ে পেটে তিনটি আঘাত করেন।
আশপাশের লোকজন সে সময় রতনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন।
আরজিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
আরজিনা কালিয়াকৈরের কলাবাধা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। রতন আলীর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার মুকরামপুর এলাকায়।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, প্রায় চার মাস আগে রতন ভালোবেসে আরজিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পরে আরজিনা জানতে পারেন রতনের সঙ্গে অন্য আরেকজন পোশাকশ্রমিকের গোপন সম্পর্ক আছে।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হতো। আর এর জের ধরেই রতনকে তালাক দেন আরজিনা।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, রতন আলী বৃহস্পতিবার গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আদালতকে বলেন, তালাক দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করেছেন।