পরপর পাঁচবারের ভূমিকম্পে সিলেটজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ছোট ছোট ভূমিকম্পের পর বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। আর বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে সিলেট সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টা ৩২ মিনিট, ১০টা ৪৭, বেলা ১১টা ৩০ ও ১১টা ৩৭ মিনিটে এবং বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়। প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। এটির উৎপত্তিস্থল সিলেটের জৈন্তাপুর।
ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মুমিনুল ইসলাম বলেন, ‘টানা পাঁচবারের মধ্যে ৪ দশমিক ১, ৪, ৩ এবং ২ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। অনেক মৃদু কম্পনের মাত্রা মাপা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় বড় ভূমিকম্প হওয়ার পর ছোট ছোট কম্পন হয়, সেগুলোকে পরাঘাত বলা হয়। সিলেট ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটে চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। অনেকেই পাঁচবার দাবি করলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পগুলোর উৎপত্তিস্থল সিলেট। এখানে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। সবশেষ বেলা ২টার দিকে শেষবার কম্পন অনুভূত হয়।’
এদিকে দুই ঘণ্টার মধ্যে পঞ্চমবারের মতো কম্পনে অফিস-আদালতে থাকা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় অনেককেই কর্মস্থল থেকে বের হয়ে খোলা স্থান ও সড়কে চলে আসতে দেখা যায়। তবে এসব কম্পনে প্রাথমিকভাবে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা যীশু তালুকদার।শহরের হাউজিংস্টেটের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান তমাল বলেন, ‘সকালে একটির কিছু পর আরও তিনটি ভূমিকম্প হয়। আমরা তখন ভয় পেয়ে সবাই রাস্তায় চলে আসি।’
সিলেট নগরের বাসিন্দা মামুন হোসেন বলেন, ‘আল্লাহ জানে কপালে কী আছে। বউ-বাচ্চা নিয়ে ভয়ে আছি।’
সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা যীশু তালুকদার বলেন, 'এখন পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’