নওগাঁ শহরের মুক্তিরমোড় এলাকার ইডেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টের কর্মচারীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রেষ্টুরেন্টের তৃতীয় তলা থেকে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আতাউর রহমানের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন চকশান্তি গ্রামে। তিনি ২২ বছর ধরে ওই রেস্টুরেন্টে কাজ করছিলেন। রেস্টুরেন্টে খেতে আসা কাস্টমারদের গাড়ি পাহাড়া দেয়ার পাশাপাশি রাতের বেলা রেস্টুরেন্টের ভেতরে নৈশপ্রহীর কাজও করতেন।
আতাউরের ছেলে রতন হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শেষ তার বাবার সঙ্গে ফোনে কথা হয়। পরিবারের খোঁজ নেয়ার জন্য আতাউর ফোন করেছিলেন। এরপর সকালে জানতে পারেন তার বাবা আর নেই।
রাতে আতাউরের সঙ্গে বাদল নামে এক কর্মচারী ছিলেন। কিন্তু সকালে থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান রতন।
হত্যার সঙ্গে বাদল যুক্ত থাকতে পারেন বলে রতনের দাবি।
স্থানীয় পদ্মা বাস কাউন্টারের কর্মচারী মোহন রানা বলেন, ‘আতাউর ভাই খুব ভালো মানুষ আছলো। অনেক বছর ধর্যা হোটেলে কাজ করে। সকালে শুনবার পানু কেবা তাক ম্যারা ফেলছে। এত সহজ-সরল মানুষকে কে মারলো হামরা তার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে যৌথমালিকানাধীন ইডেন রেস্টুরেন্টের মালিক পক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, নিহত আতাউর রহমান ও ওই রেস্টুরেন্টের সহকারী রাঁধুনি বাদল রাতে এক সঙ্গে ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান রাঁধুনি রেস্টুরেন্টে আসলে আতাউরের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
হত্যার পর মরদেহটি কাঁথা-বালিস দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। পরে পুলিশ রেস্টুরেন্টের তৃতীয় তলা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহে ছুরি দিয়ে শরীরজুড়ে খোঁচানোর চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকেই ওই রেস্টুরেন্টের রাঁধুনী বাদল পলাতক রয়েছে।
ওসি আরও জানান, রাজশাহী থেকে সিআইডির ফরেনসিক টিম এসেছে। তারা হত্যাকাণ্ডের স্থানসহ চারপাশে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি যৌথ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই।