পাবনার ঈশ্বরদীতে বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার স্ত্রীর অভিযোগ, কয়েকজন লোক ঘরে ঢুকে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলা সদরের কলেজ রোড রূপনগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে শুক্রবার রাতে উদ্ধার করা হয় শাকিল হোসেনের মরদেহ।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাকিলের বাড়ি মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুর দুবলিয়া গ্রামে। ঈশ্বরদী বাজারের শাকিল ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী ছিলেন তিনি।
নিহত ব্যক্তির মামা মুলাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য তারা মালিথা বলেন, ‘প্রায় ১০ দিন আগে পতিরাজপুর গ্রাম ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে কলেজ রোডের মিকদাদ ম্যানসন নামের একটি ভাড়া বাসায় ওঠে শাকিল। হঠাৎ শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে শাকিলের স্ত্রী মিম খাতুন ফোন করে জানায়, শাকিলের কী যেন হয়েছে, সে কথা বলছে না। তখন আমি তাকে বাড়িওয়ালার সাহায্য নিয়ে শাকিলকে হাসপাতালে নিতে বলি।’
বাড়ির মালিক আহসান হাবিব বলেন, ‘ভবনের দ্বিতীয় তলায় কান্নার আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখি, শাকিল বিছানায় শোয়া। মিম তার সামনে বসে আছে। কিন্তু শাকিলের কোনো সাড়াশব্দ নেই, পরে আমি পুলিশকে খবর দিই।’
নিউজবাংলাকে মিম বলেন, ‘চার থেকে পাঁচজন লোক এসে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে চলে গেছে। আমি বাধা দিলে আমাকেও লাথি মেরেছে।’
তবে কারা, কেন শাকিলকে মেরেছে, কীভাবে ঘরে ঢুকেছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সিআইডির বিশেষ টিম এসে আলামত সংগ্রহ করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, ‘মিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। ঘটনা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মৃত্যুর কারণও নিশ্চিত করা যায়নি।’