কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী আয়েশা ছিদ্দিকা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার মূল আসামি ওমর ফারুকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হত্যার দেড় বছর পর সিলেট থেকে ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফারুক সিলেটে ছদ্মনাম নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডি কক্সবাজার জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়সাল আহম্মেদ।
তিনি জানান, পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নে মাদ্রাসাছাত্রী আয়েশা ছিদ্দিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি ওমর ফারুক। পেকুয়া থানায় মামলাটি করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর।
সিআইডি জানায়, আয়েশা ছিদ্দিকা ও ওমর ফারুক দূরসম্পর্কীয় খালাতো ভাই-বোন। তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। তাদের প্রেমের বিষয়ে পরিবারও অবগত ছিল। কিন্তু ওমর ফারুকের ভাই আব্দুল মালেক একটি শিশু হত্যা মামলায় জড়িত থাকায় পারিবারিকভাবে আয়েশার পরিবার সর্ম্পকের বিষয়টি মেনে নেয়নি। এক পর্যায়ে আয়েশার পড়ালেখা বন্ধ করে দেয় পরিবার।
ফয়সাল আহম্মেদ জানান, মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর ওমর ফারুকের বাড়িতে যান আয়েশা। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আয়েশাকে গলা টিপে হত্যা করেন ফারুক।
সিআইডি জানায়, আয়েশাকে হত্যার পর চাচী হালিমা বেগম, রোকেয়া বেগম এবং ফারুকের ফুফাতো বোনের স্বামী ইলিয়াসের সহযোগিতায় মরদেহ বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ডোবাতে ফেলে দেন। এরপর ফারুক পালিয়ে সিলেটে আত্মগোপন করেন।
তিনি বলেন,তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সিলেটের গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি এলাকা থেকে বুধবার রাতে ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফারুকের দেয়া তথ্যমতে শুক্রবার ভোরে পেকুয়া বাইম্যাখালীর নিজ ঘর থেকে মো. ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওমর ফারুক সিলেটে আত্মগোপনের পর আব্দুল্লাহ নামে একটি বেকারিতে চাকরি করতেন বলে জানিয়েছে সিআইডি।