ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের তারকাটাবিহীন এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরে করোনা রোগী বিভিন্ন স্থানে যেতে পারে। এতে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা থাকছে।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির খালিশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন সময় পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, চলতি মাসে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসার অপরাধে ৪০ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের আলাদাভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সীমান্তবাসী বলছেন, বিজিবির অভিযানে যা আটক হচ্ছে তার থেকে দ্বিগুণ লোক তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। এতে সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
জানা যায়, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ১১ কিলোমিটারের বেশি এলাকা অরক্ষিত। যে কারণে উপজেলার সামন্তা, খোশালপুর, লড়াইঘাট, মাটিলাসহ বিভিন্ন এলাকা দিয়ে বহু মানুষ ভারত যাচ্ছে। আবার সেখান থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
উপজেলার লেবুতলা গ্রামের বাসিন্দা জব্বার আলী বলেন, ‘আমার বাড়ি একদম বর্ডারের সাতে। একেনে ২ কিলোমিটার কোনো তারকাটা নেই। রাতের আন্দারে লোকজন আসে। বিজিবি কিছু ধরতি পারে। আর অনেকেই পলায়ে চলে যায়। আমরা তো খুব বিপদে আছি। ইন্ডিয়ায় করোনার যে অবস্তা। তাতে তো আমরা খুব ভয়ে আচি।’
কুচিয়ারপোতা গ্রামের আতিয়ার রহমান বলেন, বিজিবি প্রায়ই লোকজন ধরে। তবে অনেক লোক রাতে পার হয়ে গ্রামের ভিতর লুকায়ে থাকে। তাগোর মদ্যি যদি কারও করোনা হয় তাহলি তো আমাগেরও হতি পারে। এই নিয়ে খুব চিন্তায় আচি।’
খালিশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল কামরুল আহসান জানান, এখন পর্যন্ত যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা দিয়ে মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। সীমান্ত দিয়ে যেন অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে না পারে, সে জন্য টহল জোরদার করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, অবৈধভাবে ভারত থেকে আসা যাদের করোনা পজিটিভ হয়েছিল তাদের সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পৃথকভাবে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।