বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

  •    
  • ২৮ মে, ২০২১ ২৩:১৯

কোরবান চৌধুরী বলেন, ‘আমি কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি নৌকা প্রার্থীর পক্ষেও কাজ করেছি। বাদশা মণ্ডল ছিল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে। ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার আগেই তার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।’

বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলার অভিযোগ তুলে ও প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী কোরবান চৌধুরী। এদিন একই দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিমঞ্চ মঞ্চের পাংশা পৌরসভা শাখা।

শুক্রবার সকালে পৌরসভার কুড়াপাড়ার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী বাদশা মণ্ডল ও তার সমর্থকদের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত দশ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতরভাবে জখমরা এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। সংবাদ সম্মেলনে কোরবান চৌধুরী বলেন, ‘আমি কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি নৌকা প্রার্থীর পক্ষেও কাজ করেছি। বাদশা মণ্ডল ছিল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে। ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার আগেই তার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।’

তিনি জানান, কয়েক দফায় বাড়ি এবং সমর্থকদের ওপর হামলায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন তিনি।

কোরবান চৌধুরী বলেন, ‘হামলার ঘটনায় আমি পাংশা থানায় মামলা করেছিলাম। সেই মামলায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করেছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে তারা আবারও হুমকি দিচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে কোরবান চৌধুরীর ভাই ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ পাংশা পৌরসভার শাখার সভাপতি ইস্রাফিল হোসেন বলেন, ‘১০ মে পবিত্র রমজান মাসে আবার তারা কর্মী-সমর্থকদের ওপর বর্বর হামলা করে। এতে আওয়ামী লীগ নেতা তমছের মণ্ডল, আরিফ চৌধুরী, শরিফ চৌধুরী, নাইম মণ্ডল গুরুতর আহত হন।’

তিনি জানান, কয়েক দফা হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আরিফ চৌধুরীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৯টি কোপ দেয়া হয়েছে। মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে ৭০টি। শরীরে সেলাই দিতে হয়েছে ১০০টি।পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। এখন তদন্ত চলছে। আসামিরা জামিনে বের হয়ে এসে যদি হুমকি দিয়ে থাকে, সেটি তদন্তে প্রমাণিত হলে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর