বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা সনদ ছাড়াই দেশে প্রবেশ করছেন ভারতীয় ট্রাকচালকরা

  •    
  • ২৮ মে, ২০২১ ২২:৪৩

সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুস জানান, দিনাজপুর জেলায় করোনা শনাক্তের হার ১৭ শতাংশ হলেও কয়েকদিন ধরে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দিনাজপুর সদর উপজেলায়।

দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলাই সীমান্তবর্তী। এগুলো হলো সদর, বোচাগঞ্জ, বিরল, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর ও হাকিমপুর উপজেলা। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সরকার ১৯ এপ্রিল ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি যাত্রীদের দেশে ফিরে আসার জন্য হিলি সীমান্ত খুলে দেয়। এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়ে হাকিমপুর উপজেলা। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাকায় করোনা নেগেটিভের সনদ ছাড়াই দেশে প্রবেশ করছেন ভারতীয় ট্রাকচালক ও তাদের সহকারীরা। ফলে হাকিমপুর উপজেলার মানুষরা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, সরকার স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছে। তবে ভারতীয় ট্রাকচালক ও তাদের সহকারীরা করোনা নেগেটিভের সনদ ছাড়াই বন্দরে প্রবেশ করছে। তাদের করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে বন্দরে প্রবেশের দাবিতে সোমবার দুপুরে ১ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এ সময় ভারতের ব্যবসায়ীরা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সময় নেন। এরপর থেকে সনদ নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করবেন বলে জানান তারা।

ভারতীয় ট্রাকচালকরা করোনা নেগেটিভের সনদ ছাড়াই দেশে প্রবেশ করতে পারলেও ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের কলকাতায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনের এনওসি এবং করোনা নেগেটিভের সনদ নিয়ে দেশে প্রবেশ করতে হচ্ছে । বাংলাদেশে প্রবেশের পর হাকিমপুর উপজেলার ৩টি আবাসিক হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা গাদ্দাফি জানান, গত রোববার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসা তিনজনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। তাকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তার শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কি না তা ঢাকায় নমুনা পরীক্ষার পর জানা যাবে।

সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুস নিউজবাংলাকে জানান, দিনাজপুর জেলায় করোনা শনাক্তের হার ১৭ শতাংশ। তবে কয়েকদিন ধরে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দিনাজপুর সদর উপজেলায়। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় ১২৫ জন মারা গেছেন। বর্তমানে জেলায় ১৬৩ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, চলতি মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। এরপরই বাড়তে শুরু করে আক্রান্তের হার। ১৩ তারিখ ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ১৪ তারিখ ১৫ দশমিক ৩৮শতাংশ এবং ২৩ তারিখ ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর