বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বলছে ঘর থ্যাকা বাহির হইও না, কেউ তো কিছু দিয়্যা যায় না

  •    
  • ২৮ মে, ২০২১ ২২:৪০

‘সংসার তো চলে না ভাই, এখন কী করব বলেন, নুনভাত খ্যায়া বাঁচছি। কেউ তো খাওয়ার দিয়েও যায় না, বলছে ঘর থ্যাকা বাহির হইও না, কিন্তু কেউ তো কিছু দিয়্যা যায় না। আজকে বাহির হলাম তো ইনকাম নাই, সংসারটা তো চ্যালাতে হবে দাদা, তার ল্যাগ্যা রিকশা চালাচ্ছি।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলমান কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে এসে বেশ কয়েকজন রিকশাচালককে দেখা গেল শহরে। তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন অলিগলির পথে যাত্রী বহন করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় কথা হয়, রিকশাচালক বাবুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন একবারই পারেনি, তার পরদিনও পারেনি, ক্যাল একটু বাহির হয়্যাছিনু, আজ সকাল থ্যাকাই বাহির হয়েছি। কী করব আর পারছি না, সংসার চলবে কীভাবে। প্যাটের ল্যাগাই বাহির হয়্যাছি। চিপাচাপা দিয়্যা চালাছি।’

শহরের বিশ্বরোড এলাকায় আরেক রিকশাচালক মোহাম্মদ জনি জানান, তিনি আগে বাসের হেলপার ছিলেন। বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন এই পেশায় আয় করছেন।

জনি বলেন, ‘সংসার তো চলে না ভাই, এখন কী করব বলেন, নুনভাত খ্যায়া বাঁচছি। কেউ তো খাওয়ার দিয়েও যায় না, বলছে ঘর থ্যাকা বাহির হইও না, কিন্তু কেউ তো কিছু দিয়্যা যায় না। আজকে বাহির হলাম তো ইনকাম নাই, সংসারটা তো চ্যালাতে হবে দাদা, তার ল্যাগ্যা রিকশা চালাচ্ছি।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে চলাচল করা প্রায় সব চালকের অবস্থাই একই রকম। চলমান সাত দিনের লকডাউনে কষ্টে আছেন তারা। যদিও করোনার সংক্রমণের হার কমাতে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে বাধ্য হওয়ার কথা বলছে প্রশাসন।

শ্রমজীবী এই মানুষদের ঘরে রাখতে বিশেষ সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ। তিনি জানান, পৌর মেয়র এই তালিকা করছেন।

মেয়রকে তালিকা করতে দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তার কাছ থেকে যেহেতু লাইসেন্স নেয়া হয়, তাই একটা তালিকা আছে।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রতিটা প্যাকেটে পাঁচ কেজি চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মোটামুটি সব পণ্য নিয়ে একটি প্যাকেট তৈরি করা হয়েছে। এই খাবারে একটা পরিবার কয়েক দিন চলতে পারবে।

এ বিভাগের আরো খবর