ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে বাঁধের যে ক্ষতি হয়েছে, তা সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে।
শুক্রবার শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
নড়িয়া-জাজিরায় পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে এসে শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ ও উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইয়াস মোকাবিলায় ও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল। যে কারণে উপকূলীয় অঞ্চলসহ নদীপ্রধান অঞ্চলে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। যেটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা মোকাবিলায় সরকারি সংস্থা কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শরীয়তপুর পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তিনাশা নদীর তীরে অবস্থিত।বছরজুড়ে এ অঞ্চলের মানুষ নদীভাঙনের ফলে কষ্ট করেন। ভাঙন রোধ করে তাদের কষ্ট লাঘব করা হবে। জেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধে অন্তত ২ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। ওই কাজের মান ও অগ্রগতি দেখার জন্য আমি নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করি। জেলায় ভাঙনপ্রবণ স্থানগুলো চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। জায়গাগুলো চিহ্নিত করা হলে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ভাঙন রোধ করা হবে।’
পরে উপমন্ত্রী নড়িয়া বিহারি লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুনার্মেন্টের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া তিনি কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পশ্চিম অঞ্চল ফরিদপুরের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হেকিম, ফরিদপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দ শাহিদুল আলম, শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রুপা রায়, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালম আজাদ ও নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন উপস্থিত ছিলেন।