ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে তিন দিন বন্ধ থাকার পর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার উভয় ঘাট থেকে লঞ্চ ও ফেরি ছাড়া শুরু হয়েছে। নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের পোর্ট অফিসার শাহাদাত হোসেন।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে দেশের সব নদীবন্দর থেকে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। পদ্মা উত্তাল থাকায় সন্ধ্যা থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল।
পোর্ট অফিসার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় নৌযান চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এই নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) উপব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শ যানবাহন। ১৪টি ফেরি দিয়ে সেগুলো পারাপার করা হচ্ছে। ভোরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের কিছুটা চাপ ছিল। তবে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর ফেরিতে যাত্রীর চাপ কমে এসেছে।’
লঞ্চ ও ফেরি বন্ধ থাকায় বাংলাবাজার ঘাটেও যাত্রী ও যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কে-টাইপ ফেরি ‘কুঞ্জলতা’ ও ১০টায় ‘ক্যামেলিয়া’ বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল শুরু হয়। তবে শুক্রবার ভোর থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। রো রো, ডাম্প, কে-টাইপ ও মিডিয়ামসহ সকল ফেরি চলাচল করছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উপকূলে আঘাত হানার আগে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিআইডব্লিউটিসির নির্দেশে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল। বুধবার বাতাস ও ঢেউয়ের ধাক্কায় শিমুলিয়ায় ফেরিঘাটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঝোড়ো বাতাস বইতে থাকলে পদ্মা নদী উত্তাল হয়ে ওঠে । দুর্ঘটনা এড়াতে সারা দিন বন্ধ থাকে নৌ চলাচল।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে লঞ্চগুলো। সকালে যাত্রীর চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা কমে এসেছে।