শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট থেকে শিমুলিয়া নৌরুটে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ চার ব্যক্তির উদ্ধার অভিযান চলছে।
ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল ও নৌ-পুলিশ যৌথভাবে সকাল ৯টা থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিখোঁজ চার ব্যক্তির সন্ধান ও তাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। ইয়াস ঝড়ের প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় গত রাতের উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়েছিল। তাই রাত ৯টায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।
’শুক্রবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ-পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান আবারও শুরু করেছে। ট্রলারচালক পলাতক। তার খোঁজ করা হচ্ছে।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘নিখোঁজের সন্ধানে এখনও কোনো স্বজন আসেনি, তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। আর উদ্ধার হওয়া মরদেহ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান আকনের, তার জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শরীয়তপুরের পালেরচর থেকে একটি ট্রলার শিমুলিয়ায় যাওয়ার পথে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। সেখান থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান আকনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইয়াসের প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিআইডব্লিউটিএ। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নৌযানটি শরীয়তপুর থেকে মাওয়ার শিমুলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়।
গত ৩ মে পদ্মার বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথের কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায় যাত্রীবোঝাই স্পিডবোট। সেখান থেকে একে একে উদ্ধার করা হয় শিশুসহ ২৬ জনের মরদেহ। জীবিত উদ্ধার করা হয় স্পিডবোটের চালকসহ কয়েকজনকে।