নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে প্রথম কোনো রোহিঙ্গা নারীর অস্ত্রোপচার করে শিশুর জন্ম হয়েছে।
ক্যাম্পের ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই প্রথম অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর মা ও শিশু সুস্থ আছে।
অস্ত্রোপচারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডা. সাইফুদ্দিন রাফি ও গণস্বাস্থ্য এনজিওর একটি দল।
নোয়াখালী সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এর আগে ভাসানচর ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে কোনো সিজার করা হয়নি। ইয়াসের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় প্রসূতিকে অন্য হাসপাতালে নেয়া সম্ভব ছিল না।
‘তাই জরুরি ভিত্তিতে সিজার করে রোহিঙ্গা দম্পতির ঘরে এক ছেলে শিশু জন্ম নেয়।’
তিনি জানান, এর আগে ভাসানচর ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবে ৩০টি শিশুর জন্ম হয়।
এ ছাড়া হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারের মাধ্যমে দুটি শিশুর জন্ম হয়। আর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৭ রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়।
প্রথম দফায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন এবং ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে এসে পৌঁছান।
বর্তমানে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৮ হাজার ৪১৬ জন রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।