বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অল্প ইলিশেই সরগরম চাঁদপুরের মাছঘাট

  •    
  • ২৮ মে, ২০২১ ০৯:৪০

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরা পড়ছে না বললেই চলে। তাই আড়তেও মাছের আমদানি অনেক কম। এই সুযোগে মাছের বাজারে বিক্রি হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে ধরা পড়া ইলিশ।

মৌসুম শুরু হলেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ। আমদানি কম থাকায় অনেকটাই প্রাণহীন ছিল চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছঘাট। তবে দেশের অন্যতম বড় ইলিশের বাজার এখন সরগরম। অল্প পরিমাণে নদীর ইলিশ আর উপকূল থেকে আসা ইলিশের জোগানে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে মাছঘাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে।

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ মার্চ থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরছেন জেলেরা। তবে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না বললেই চলে। তাই আড়তেও মাছের আমদানি অনেক কম। এই সুযোগে মাছের বাজারে বিক্রি হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে ধরা পড়া ইলিশ।

মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য গত ২০ মে থেকে ৬৫ দিনের জন্য দেশের সমুদ্র জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়েই উপকূল থেকে ইলিশ মাছ ধরে নৌকা ও ট্রলারে করে নিয়ে আসা হচ্ছে মাছঘাটে।

বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে জানা যায়, বর্তমানে ঘাটে স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার ইলিশ আমদানি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ মণ। এই পরিমাণ ইলিশে ক্রেতাদের চাহিদা মিটছে না।

এদিকে, এক সপ্তাহ ধরে সমুদ্র উপকূল থেকে চাঁদপুর মাছঘাটে আমদানি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ মণ ইলিশ। আর ধরা নিষিদ্ধ হলেও মূলত সাগরের ইলিশেই কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।

মাছ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চললেও অনেক অসাধু জেলে চুরি করে মাছ ধরেন। সেসব মাছ চট্টগ্রামে বিক্রি করতে না পারায় বেশির ভাগই নৌকায় করে চাঁদপুরে মাছঘাটে নিয়ে আসেন।

ব্যবসায়ী আলী আকবর জানান, দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ইলিশের তুলনায় স্থানীয় নদীর ইলিশের দাম কিছুটা বেশি। নদীর ১ হাজার ২০০-১ হাজার ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়, ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় এবং ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা দরে।

অন্যদিকে, চাঁদপুরের বাজারে উপকূলীয় ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা এবং ছোট ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে।

তবে ঘাটে আমদানি করা ইলিশগুলো উপকূলীয় অঞ্চলের হলেও তা সমুদ্রের নিষিদ্ধ এলাকার না বলে দাবি করেছেন চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ী বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার।

তিনি বলেন, ‘চাঁদপুরের লোকাল (স্থানীয়) নদীতে ইলিশের আমদানি এখন অনেক কম। হাতিয়া, ভোলার চরফ্যাশন, মনপুরাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীতে ধরা পড়া ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে আসছে।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বলেন, ‘সমুদ্র ও উপকূল এলাকার মৎস্য কর্মকর্তারা জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন। তার পরেও হয়তো কিছু জেলে মাছ ধরে থাকতে পারেন। তবে উপকূলের ইলিশ চাঁদপুরে আমদানি করা হচ্ছে কি না, তা জানা নেই। এমন হলে অবশ্যই তা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর এখন পর্যন্ত খুব একটা বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। তাই পদ্মা-মেঘনায় জেলেরা বেশি ইলিশ পাচ্ছেন না। ভারী বর্ষণ হলে সাগর থেকে ইলিশ নদীতে উঠে আসবে। আশা করি তখন জেলেরা কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরতে পারবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর