বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হালদা থেকে সাড়ে ৬ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ

  •    
  • ২৮ মে, ২০২১ ০১:৪৭

হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, আমাদের হিসাবে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ হয়েছে। এটি গতবারের তুলনায় অনেক কম। যে পরিমাণ ডিম সংগ্রহ হবে বলে প্রত্যাশা করেছি, তেমন হয়নি। প্রাকৃতিক কারণে আমাদের আশা পূরণ হয়নি।

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র চট্টগ্রামের হালদা নদী থেকে এবার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছে হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ।

তবে সরকারিভাবে গঠিত কমিটি কী পরিমাণ ডিম সংগ্রহ হয়েছে তা প্রকাশ করেনি ।

হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, আমাদের হিসাবে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ হয়েছে। এটি গতবারের তুলনায় অনেক কম। যে পরিমাণ ডিম সংগ্রহ হবে বলে প্রত্যাশা করেছি, তেমন হয়নি। প্রাকৃতিক কারণে আমাদের আশা পূরণ হয়নি।

অন্যদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন, আমরা বিকেলে ডিমের পরিমাণ উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় সেটা প্রকাশ করবে। এর আগ পর্যন্ত সেটা প্রকাশের এখতিয়ার আমাদের নেই।

প্রতি বছরের চৈত্র থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে পূর্ণিমা-অমাবস্যার তিথিতে বজ্রসহ বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢল নামে হালদা নদীতে। আর তখনই তাপমাত্রা অনুকূলে থাকলে ডিম ছাড়ে কার্পজাতীয় মাছ। সাধারণত এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে হালদায় ডিম ছাড়ে মা মাছ। তবে এবার পূর্ণিমা তিথি, বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢল ছাড়াই মা মাছ ডিম ছেড়ে দিয়েছে।

এদিকে বুধবার রাত ১২টার দিকে হাটহাজারীর আজিমের ঘাট, অঙ্কুরিঘোনা এলাকায় কার্পজাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করে। সকাল পর্যন্ত হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার আমতুয়া, সত্তার ঘাট, রামদাশ মুন্সীর হাট, মদুনাঘাট, গড়দুয়ারা, কান্তার আলী চৌধুরী ঘাট, নাপিতের ঘোনা ও মার্দাশা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে স্থানীয় সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করেন।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন জানান, ৩৮০টি নৌকায় হাজার খানেক মানুষ হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করেছেন। সংগ্রহ করা ডিম হ্যাচারি ও প্রাকৃতিক কুয়ায় নেয়া হয়েছে। সেখানে ডিম ফুটতে শুরু করেছে।

গত বছর রেকর্ড পরিমাণ ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি ডিম পাওয়া গিয়েছিল। ২০১৯ সালে প্রায় ৭ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে সংগ্রহ হয়েছিল ২২ হাজার ৬৮০ কেজি ডিম।

এ বিভাগের আরো খবর