বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বদলি

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ২২:৫৯

গত ২৬ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা তান্ডব চালান। এর এক মাস পূর্ণ হওয়ার দিন পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের পুলিশ বিভাগে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে।

তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার করে বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনে তার স্থলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-২ এর অতিরিক্ত সুপার মো. মনিরুজ্জামানকে পদায়ন করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন নিজেই বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৬ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা তান্ডব চালান। এর এক মাস পূর্ণ হওয়ার দিন পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।

পরদিন ২৭ এপ্রিল জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আলাউদ্দিন চৌধুরীকে সিলেট রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে এবং সরাইলের খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেনকে গাজীপুরে বদলি করা হয়।

প্রায় এক মাস কোনো পরিবর্তন না হলেও গত ৯ মে পুলিশ সরাইল থানার ওসি নাজমুল আহমদেকে বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। ১১ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইশতিয়াক আহমেদকে নাসিরনগর থানার চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এবং গত ১৯ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহানকে থানা থেকে সরিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পদায়ন করা হয়।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ঘটনার পর পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিদর্শন করেন।

তিনি পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এটি একটি অপেশাদার কার্যক্রম হিসেবে বিবেচিত হবে। আমাদের পুলিশের মধ্যে ইনডিসিপ্লিন বা অপেশাদার লোকজনদের দরকার নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর