ঢাকার সাভারে তালাবদ্ধ ঘর থেকে হাত-পা বাঁধা যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গাজীপুরের কোণাবাড়ি এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়৷
চাকরির জন্য দেয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় তিন বন্ধুর হাতে আল আমিন খুন হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য বৃহস্পতিবার দুপুরে জানিয়েছে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম।
তিনি জানান, হাত-পা বাঁধা মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তার নাম আল আমিন। তিনি পাবনা জেলার বেড়া থানার মঞ্জু মিয়ার ছেলে।যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা হলেন পাবনার সাঁথিয়া থানার ধুলাউড়ি গ্রামের মো. সোহেল, আব্দুল আলীম ও মো. জিহাদ।পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল জানান, আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার শামসুন্নাহারের বাড়ির তালাবদ্ধ ঘর থেকে রোববার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন আশুলিয়া থানায় মামলার পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায় মরদেহের পরিচয় মেলে।
বিভিন্ন সূত্রে আল আমিনের সঙ্গে তিন বন্ধুর ঘনিষ্ঠতা পায় পুলিশ। তারা সবাই পাবনা জেলার একই গ্রামের বাসিন্দা। পরে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে গাজীপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আল আমিনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সোহেল চাকরি দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেন। চাকরি না দিতে পারায় টাকা ফেরত চান আল আমিন।এ কারণে তিন বন্ধু তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তারা আমিনকে ভাড়া বাসায় হত্যার পর বাইরে থেকে কক্ষে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাড়ির মালিক শামসুন্নাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ১৯ মে বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন আমিন। আগামী ১ জুন স্ত্রীসহ ওই বাসায় উঠবেন বলে তিনি বাড়ির মালিককে জানান। ওঠার সময় বাড়ি ভাড়ার ফরম পূরণ করার কথা ছিল।
২০ মে বন্ধু পরিচয়ে চারজনকে নিয়ে আমিন বাসায় আসেন। ২২ মে ভোরে তারা চলে যাওয়ার পর ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। রোববার ঘর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে রাতে পুলিশে খবর দেন বাড়ির মালিক। পুলিশ ঘরের তালা ভেঙে হাত-পা বাঁধা ও গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে।
মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানায় পুলিশ।