ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক আছে তার স্বামী।
উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের গোয়াইলপোতা গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার সকালে মীম আক্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মীম একই ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের আ. রব হাওলাদারের মেয়ে।
স্বজনরা জানায়, ৫ মাস আগে ওই গ্রামের রশিদ মৃধার ছেলে বাবু মৃধার সঙ্গে মীমের বিয়ে হয়।
বাবু ও মীম দুইজনের বয়সই ১৬। তারা একই সঙ্গে দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করত। এসময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে দেয়া হয়।
বাবুর ভাবি ইভা বেগম বলেন, ‘বুধবার রাতে আমরা যার যার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। ফজর আজানের পর আমি ঘুম থেকে উঠে দরজার খুলতেই দেখি ঘরের সামনে আম গাছে মীম ঝুলছে। চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে ওকে নামায়। তখনও জীবিত ছিল। আমরা তেল পানি মাথায় দিয়ে ডাক্তারের কাছে নেয়ার প্রস্তুতি নেই। এরই মধ্যে মীম মারা যায়।’
মীমের বাবা রব হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। মেয়ের বয়স না হলেও এলাকার মুরুব্বিদের পরামর্শে তাকে বিয়ে দেই। আমার মেয়েকে ওরা খুন করে ফেলেছে।’
স্বামী বাবু মৃধা পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরাও বেশি কিছু বলতে রাজি হয়নি।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বিপ্লব বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’