বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কাটতে না কাটতে চুয়াডাঙ্গায় আঘাত হেনেছে টর্নেডো। আধা মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে আলমডাঙ্গা উপজেলার দুটি গ্রাম।
উপজেলার নান্দবার ও আইন্দিপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার ভোরে আঘাত হানে টর্নেডোটি। এতে দুই গ্রামের অর্ধশতাধিক বাড়ি, কয়েক শ গাছ ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ইয়াসের প্রভাবে বুধবার সারা রাত জুড়ে হালকা বাতাস ছিল। তবে ভোরের আলো ফোটার পর পরই বদলে যায় আবহাওয়া। চারদিক কালো করে শুরু হওয়া দমকা হাওয়া কিছুক্ষণ পর রূপ নেয় কয়েক সেকেন্ডের টর্নেডোয়।
তারা আরও জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনেকের ঘরের চাল, টিনের বেড়া উড়ে যায়। ডালপালা ভাঙার পাশাপাশি উপড়ে যায় অনেক গাছ। এমনকি কারও কারও ঘরের চালের টিন উড়ে গিয়ে আটকেছে নারিকেল গাছের মাথায়। কারওটা পাওয়াই যায়নি।
গাছের মাথায় আটকে যাওয়া ঘরের টিন
আইন্দিপুর গ্রামের মাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘৩০ সেকেন্ডের হু হু শব্দের টর্নেডো সব লণ্ডভণ্ড করে দিল। মাঠের পানের বরজগুলো সব ভেঙে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে গ্রামের শতাধিক পরিবারের।’
ঘটনার পর আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক ও চিৎলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বিপ্লব বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দেন ইউএনও।
সরকারিভাবে আরও সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল
এ ছাড়া নান্দবার গ্রামের যুব সমাজের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।